পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনকে ‘হত্যা’ করে বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা দেশের বাইরে থেকে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, দেশে যখন জঙ্গি হামলা চলছে, তখন সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে জাতিকে আড়াল করে এ চুক্তি করা হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘সুন্দরবন একটাই : সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক এমাজউদ্দিন ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেন, রামপালের কয়লাভিক্তিক তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র প্রকল্পের এমডির দায়িত্ব কোনো বাংলাদেশিকে নয়, দেয়া হয়েছে ভারতের একজনকে।
দেশের সিনিয়র এ শিক্ষাবিদ বলেন, রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্রের পরিকল্পনা আমাদের দেশের কারও করা নয়। বাংলাদেশের কেউ জেনে শুনে এই ক্ষতি করবে তা বিশ্বাস করা যায় না।
এমাজউদ্দিন আহমদ জানান, সুন্দরবনের যে এত ক্ষতি হচ্ছে আমি বিশ্বাস করি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরোপুরি জানেন না। তিনি সুন্দরবনের ক্ষতির বিষয়টি পুরোপুরি জানলে এত বড় ক্ষতি হতে দিতেন না।
তিনি বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচিয়েছে। কত অল্প আয়ের জন্য জাতির কত বড় ক্ষতি করতে যাচ্ছে সরকার তা এখনও বুঝতে পারছে না।
আগামী আগস্টের মধ্যে সুন্দরবনের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করে জাতির সামনে তুলে ধরতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিদ্যুতকেন্দ্র সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থাপনেরও আহ্বান রাখেন দেশের এ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
সেভ দ্য স্ন্দুরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ তোশারফ আলী, বাপার সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল মতিন, আইনজীবী হুমায়ুন কবির বুলবুল প্রমুখ। সুন্দরবন রক্ষায় ভারতের সঙ্গে করা এ প্রকল্পের চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানান তারা।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিএইচআরএমের নির্বাহী প্রধান মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ। প্রবন্ধে বলা হয়, সুপার ক্রিটিকাল পদ্ধতিতে রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র পরিচালনার ফলে শতকরা ১২ ভাগ দূষণ কম হবে। সরকার এমন দাবি করলেও ৮৮ ভাগ দূষণের কথা বলছে না।
কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে এলাকার শতভাগ পানি, ২০ ভাগ বাতাস এবং ৬৫ ভাগ মাটি দূষণের শিকার হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি করা হলেও বাস্তবে ৪ হাজার ৬০০ লোক এতে কাজ করতে পারবে। বাস্তবতা হলো, রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন ৫টি জেলার ১৯টি উপজেলার কয়েক লাখ লোক তাদের জীবিকা হারাবে। এরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।