পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন কিনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এমন শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে তাদের অভয় দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জেএল ভৌমিকের সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ভারতীয় ডেপুটি হাই-কমিশনার আদর্শ সাইকা প্রমুখ। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মণি।
নারায়ন সাহা বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠিন অবস্থান নিতে হবে। কারণ, আমরা যারা এই দেশে সংখ্যালঘু আছি, তারা বাংলাদেশকেই আপন মনে করি। আমরা যাতে এই দেশেই শান্তিতে থাকতে পারি, আপনারা সেই পরিবেশ তৈরি করে দেবেন। কারণ, আমরা এই দেশেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে চাই।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব শ্যামল কুমার রায় বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নস্যাৎ করার জন্য একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- করেছে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার হাতকে শক্তিশালী করতে সচেষ্ট থাকতে হবে। কারণ, আমাদের যত দুঃখ-দুর্দশাই হোক আমরা এই দেশেই সুখে-শান্তিতে বাস করতে চাই।
সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ডিএন চ্যাটার্জী বলেন, বাংলাদেশে প্রত্যেকটি সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষের মাথায় একটা প্রশ্ন জেগেছে, তারা কি এই দেশে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন? কিন্তু বাংলাদেশের সমগ্র অর্জন তো জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের কাছে পরাজয় বরণ করতে পারে না। কারণ, অসুরের কাছে কখনও সুর পরাজিত হতে পারে না। আজ এরা শুধু সরকার নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এই কুচক্রী মহলকে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানিয়ে ডিএন চ্যাটার্জি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আগামী দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি যুদ্ধের জন্য আমাদের সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।
তাপস কুমার পাল বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদকে আমরা ভয় পাই না। আমরা ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ওদের পরাজিত করবই। যারা ঈদের জামায়াতে হামলা করতে পারে, যারা নিরপরাধ বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করতে পারে, তারা কোনো ধর্মের অনুসারী হতে পারে না।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শঙ্কা প্রশমনে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এই দেশে থাকতে কারও ভয় নেই। এটা শুধু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ না, এটা মুসলমানের ওপর আক্রমণ না, এটা মানবজাতির ওপর আক্রমণ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। তার নেতৃত্বেই এ অপশক্তিতে পরাজিত করব। এই দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির স্থান হবে না। আপনারা এতে বিভ্রান্ত হবেন না। ক্ষণিকের জন্য হয়ত কিছুটা কষ্ট হবে, কিছু মানুষের ক্ষতি করতে পারবে, কিন্তু এতে আপনারা ভয় পাবেন না। বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে। এই দেশ তালেবান হবে না। গতকালও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হয়েছে। উনি প্রতিবেশী দেশ হিসেবে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা বলেছেন। প্রতিবেশীরা যদি আমাদের পাশে থাকে, তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এদের প্রতিরোধ করতেই পারব।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যে হামলা করা হচ্ছে, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এই বাংলাদেশ আমার, এই বাংলাদেশ আপনার। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ওই সন্ত্রাসীদের ভয় পাবেন না। সবাই সাহস করে এগিয়ে আসেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের প্রতিরোধ করবই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।