পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ইসলামি উগ্রপন্থা ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর উত্থানে ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন ব্রিটিশ এমপি ব্যারোনেস টঙ্গ। ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনি শিশুদের গুলি করে হত্যার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে নির্বাচিত হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস টঙ্গ বলেন, আমি মহৎ লর্ডদের বলতে চাই, যেভাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি শিশুদের গুলি করে হত্যা করছে তাতে একটি জঙ্গি প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। এটা ইসরায়েলের জন্য ভয়ঙ্কর। জঙ্গি এ প্রজন্ম ইসরায়েল ও তার সমর্থক দেশগুলোর বিরুদ্ধে হামলাকে জায়েজ করতে এ ঘটনাকে ব্যবহার করবে। এটা ঘটতে দেওয়া যায় না।
টঙ্গ আরও বলেন, যেভাবে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েল আচরণ করছে তার কারণেই প্রধানত ইসলামি উগ্রপন্থা ও আইএসের জন্ম হয়েছে।
এর আগে বক্তব্যে তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দিকে শিশুদের ইট-পাটকেল ছুড়ে মারার নির্দেশের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের শিশুদের বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা যাচ্ছে, তাতে তাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে। ফিলিস্তিনি শিশুরা তাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নৃশংসতা, বিভিন্ন চেক পয়েন্টের তাদের বাবা-মাকে নিগৃহীত হতে দেখে। তারা দারিদ্র্য ও পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে ভুগছে। সেটেলারদের দ্বারা নিয়মিতই সহিংসতা, ক্ষেতের ফসল, ঘর ও পানির সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে।
সাবেক এ হুইপ বলেন, এর সঙ্গে বসতি উচ্ছেদে মানুষ গৃহহারা হচ্ছে, স্কুল বন্ধ হচ্ছে, খেলার মাঠ ও খোলা জায়গা বন্ধ হচ্ছে। আমি এখনও গাজার কথা বলা শুরু করিনি।
এ মন্তব্যের পর দল থেকে তাকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন ব্রিটেনে বসবাসরত ইহুদিরা। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।