পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তবে তখনো প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়া গুটিবসন্ত ভয়াবহ ছিল। মহামারীর পর মহামারী ৩ হাজার বছর ধরে বিশ্বকে ছেয়ে ফেলেছে। ভাইরাসে সংক্রমিতদের জ্বর দেখা যায়, এরপর ফুসকুড়ি হয় এবং পুঁজে ভরে যায়, শক্ত আবরণে ঢেকে যায় এবং ক্ষতচিহ্ন ছেড়ে যায়। এই রোগটি প্রায়শই প্রচন্ড দুর্ভোগ দেয়ার পর প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৩ জনকে হত্যা করেছিল।
হার্ভার্ডের ইতিহাসবিদ ড. ডেভিড এস জোন্স বলেছেন, ‘১৬৩৩ সালে একটি মহামারী উত্তর-পূর্বের আদি আমেরিকানদের সমস্ত স্থানীয় সম্প্রদায়কে বিদ্ধস্ত করে দিয়েছিল এবং নিশ্চিতভাবে ম্যাসাচুসেটসে ইংরেজদের বসতি স্থাপনের পক্ষে সহায়ক হয়েছিল।’
প্লাইমাউথ উপনিবেশের নেতা উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড আদি আমেরিকানদের এই রোগের একটি বিবরণে লিখেছিলেন যে, গলে যাওয়া পুঁজের ফুসকুড়ি কার্যকরভাবে রোগীর চামড়াকে তার শুকনো মাদুরের সাথে এমনভাবে আটকে ফেলে যে, তা শুধু ছিড়ে ফেলা যেতে পারে। ব্র্যাডফোর্ড লিখেছিলেন, ‘ওরা তাদের পাশ ঘুরিয়ে দেয়, তখন পুরো দিকটি যেমন ছিল, ঠিক সেভাবে সমস্তটা চামড়া খসে পড়ে এবং তারা চাপ চাপ রক্তে পরিণত হয়, যা দেখতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।’
১৯৭৭ সালে সোমালিয়ার একটি হাসপাতালের বাবুর্চি আলি মাও মালিন ছিলেন প্রাকৃতিকভাবে গুটিবসন্তের শিকার সর্বশেষ ব্যক্তি। তিনি সেরে উঠেছিলেন কিন্তু ২০১৩ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ভুলে যাওয়া ইনফ্লুয়েঞ্জা : ১৯১৮ সালের ইনফু¬য়েঞ্জা আজকের করোনা মহামারীর ক্ষয়ক্ষতি, পৃথকীকরণের মূল্য এবং সামাজিক দূরত্বের উদাহরণ ধরে রেখেছে। ফ্লুটি শেষ হওয়ার আগে বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটি থেকে ১শ’ কোটি মানুষকে হত্যা করেছিল। এটি তরুণ থেকে মধ্যবয়স্কদের শিকার করে শিশুদের এতিম করে দিয়েছে, পরিবারগুলোর উপার্জনকারীদের থেকে বঞ্চিত করেছে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝ পথে সৈন্যদের হত্যা করেছে। ১৯১৮ সালের শরৎকালে বিশিষ্ট ডাক্তার উইলিয়াম ভওনকে বোস্টনের কাছে ক্যাম্প ডেভেন্সে প্রেরণ করা হয়েছিল সেখানে বয়ে যাওয়া ফ্লু সম্পর্কে তথ্য জানাতে।
তিনি লিখেছেন, ‘শত শত সাহসী যুবক তাদের দেশের ইউনিফর্মে ১০ বা তারো বেশি দলে হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে আসছিল।’
ভওন লিখেছেন, ‘প্রতিটি বিছানা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের খাটের উপর রাখা হতো, তবুও অন্যরা ভিড় করতো। তাদের মুখমন্ডল দ্রুত নীল হয়ে যেতো, তীব্র শ্বাসকষ্ট ও কাশির সাথে রক্তমাখা শ্লেষ্মা বের হতো। সকালে লাশগুলো মর্গে কর্ড কাঠের মতো স্তুপ করে রাখা হতো।’
তিনি লিখেছিলেন, ‘ভাইরাসটি জীবন ধ্বংস করে মানুষের আবিষ্কারগুলির তুচ্ছতা দেখিয়ে দিয়েছিল।’ (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।