পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আপাতত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে মন্ত্রী এ কথা বলেছেন। এ সম্পর্কিত সম্পূরক প্রশ্নে সরকারি দলের আবদুল মান্নান জানতে চান, বাংলাদেশে পাকিস্তান দূতাবাসের এক কর্মীকে আটকের পরপরই পাকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন নিখোঁজ হয়ে যান। পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মীকে ছেড়ে দেয়ার পর বাংলাদেশের নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা জরুরি কি না?
পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চললে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় না। যুদ্ধের সময়ও সম্পর্ক বজায় থাকে। আজ পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আপাতত আমরা সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাচ্ছি না। সময়কে বিবেচনায় নিতে হবে। জাতীয় স্বার্থ মাথায় রাখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূল্যায়ন করি এবং পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য হবে। ভবিষ্যৎই বলে দেবে সম্পর্ক কোন দিকে যাবে।
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় প্রদান ও কার্যকর করার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অনাকাঙ্খিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে বরাবরই যথাযথ এবং জোরালো কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা অন্য দেশ হতেও একই ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু পাকিস্তান বারবার আমাদের হতাশ করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ও অযাচিত বিবৃতি/মন্তব্য অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। পাকিস্তানকে এ কথা কঠোরভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করবে আমরা আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।