পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়ছে দেশ। বৈশাখের শেষে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। কাল থেকে জৈষ্ঠ্যের শুরু। তীব্র গরমে হাসফাস অবস্থা। গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৬ ডিগ্র সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে এটি আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আবহাওয়াবিদরা। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা আগামী এক সপ্তাহে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।
দেশে এখন খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, পাবনা, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। আগামী দু’দিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এই কারণেই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেড়ে দেশের কোনও কোনও অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, দেশের অনেক এলাকায় এখন তাপপ্রবাহ বইছে। এটি আরও দুই-তিনদিন থাকতে পারে। খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকার ওপর দিয়ে এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আপাতত মৃদু তাপপ্রবাহ হলেও এই তাপমাত্রা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ঝড় বৃষ্টিরে পূর্বাভাস আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
তাপপ্রবাহের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের দু´এক জায়গায় এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলে অস্থায়ী ভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া এবং বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য অঞ্চলের আকাশ অস্থায়ী ভাবে মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে দেশের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে এক তীব্র তাপপ্রবাহ অর্থাৎ প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে। অন্য এলাকাগুলোতে ১ থেকে ২ ডিগ্রি মৃদু তাপপ্রবাহ অর্থাৎ ৩৬-৩৮ ডিগ্র সেলসিয়াস অথবা মাঝারি ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে এক মাস সব বন্ধ থাকলেও গত এক সপ্তাহে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকন্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। গার্মেন্ট কারখানা খুলেছে, মার্কেট খুলেছে, গণপরিবহন না থাকলে রাস্তায় অন্যান্য পরিবহনের সংখ্যায় বেড়েছে। এতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও বেড়ে গেছে। এর প্রভাবেও কিছুটা দেশের আবহাওয়ার ওপর পড়েছে। বেড়েছে তাপমাত্রা। এছাড়া এই মৌসুমে এ ধরনের তাপপ্রবাহ স্বাভাবিক বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্যানুযায়ী গত ২ মে রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ২৮. ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ মে তা বেড়ে হয় ৩০.৭ ডিগ্রি এবং ১৩ মে তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একইভাবে ২ মে ময়মনসিংহে ছিল ৩০.৮। আজ ১৩ মে সেই তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে ২ মে ছিল ৩১ .৪ ডিগ্রি, ৭ মে ছিল ৩২.৭ ডিগ্রি এবং তা আরও বেড়ে এখন ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সিলেটে ২ মে ছিল ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এরপর বৃষ্টির কারণে ৭ মে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আজ বেড়ে হয়েছে ৩৪.৭ ডিগ্রি। রাজশাহীতে ২ মে ছিল ৩২.২ ডিগ্রি, ৭ মে ৩২ ডিগ্রি এবং আজ তা বেড়ে হয়েছে ৩৬.২ ডিগ্রি, রংপুরে ২ মে ছিল ৩১.৩ ডিগ্রি, ৭ মে কিছুটা কমে হয় ৩০.৮ ডিগ্রি এবং এরপর ১৩ মে তা আবার বেড়ে হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি, খুলনায় ২ মে ছিল ৩৩ ডিগ্রি ৭ মে কমে হয়েছিল ৩২ ডিগ্রি এবং আজ তা আবার বেড়ে হয়েছে ৩৬.৫ ডিগ্রি এবং বরিশালে ২ মে ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি, ৭ মে ছিল ৩০.৩ ডিগ্র এবং আজ বেড়ে হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।