পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান আল্লাহপাক মুমিন মুসলমান বান্দাহদের মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয়কেই সমানভাবে ইবাদত বন্দেগির সাওয়াব দান করেন। এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষভেদে কোনো তারতম্য করা হয় না। আল কোরআনে এই বিশেষত্বটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : নিশ্চয়ই আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোজা পালনকারী পুরুষ ও রোজা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হেফাজতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী নারী- আল্লাহপাক তাদের জন্য রেখেছেন মাগফেরাত (ক্ষমা) ও মহাপ্রতিদান। (সূরা আহযাব : আয়াত ৩৫)।
এই আয়াতে কারিমায় আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত মুমিন মুসলমান পুরুষ ও নারীদের মধ্যে যারা দুনিয়া এবং আখেরাতে অবারিত দয়া, ক্ষমা ও শুভ প্রতিদান লাভে ধন্য হবেন। তাদের দশটি বৈশিষ্ট্য ও গুণের কথা তুলে ধরেছেন। যাদের মধ্যে দুনিয়ার জীবনে এই দশটি গুণের মধুর সমাহার ঘটবে, তারাই লাভ করবে মাগফেরাত ও মহাপুরস্কার। এই দশটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য লাভ করার সুবর্ণ সুযোগ হচ্ছে মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা। পূর্ণ আন্তরিকতা ও আল্লাহভীতিকে পরিপূর্ণ বহাল রেখে রোজা পালন করলে এই সাধনার শৈল শিখরে উপণীত হওয়া যায়। এর মাঝে কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটার কোনো সুযোগ নেই। কেন নেই, কি জন্য নেই এর মর্মকথা সাইয়্যেদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্লিল আলামীন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা:) সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : তোমাদের কাছে রমজান মাস সমুপস্থিত। এটি এক অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এ মাসে তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শয়তানগুলো আটক করে রাখা হয়। আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এ মাসে একটি রাত (লাইলাতুল কদর) আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম। যে ব্যক্তি এই রাত্রের মহাকল্যাণ লাভ হতে বঞ্চিত থাকল, সে সত্যই বঞ্চিত (কপাল পোড়া) ব্যক্তি। (সুনানে নাসাঈ : ৪/২১০৬)।
এই হাদিসে সিয়াম সাধনার সিদ্ধিলাভের উপায় বা সুযোগগুলোর কথা নাম ধরে বলে দেয়া হয়েছে। মুমিন মুসলমান নর এবং নারী যদি উল্লিখিত পাঁচটি সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়, তাহলে তাদের মাগফেরাত লাভ করা ও শুভ পরিণাম লাভে ধন্য হওয়া মোটেই অসম্ভব নয়। বরং তা সহজ ও সম্ভব। আল্লাহপাক আমাদের দয়া করুন। আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।