পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিউল আলম : চলতি ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন) মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। এ মাসে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১ থেকে ২ দিন বজ্রঝড় তথা আগাম কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। (মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রার পারদ ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে)।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় একথা জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন আহমেদ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত দেশের নদ-নদী অববাহিকায় ও অন্যত্র সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ মাসে দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ মিলিমিটার এবং গড় সূর্য কিরণকাল ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টাকাল স্থায়ী থাকতে পারে।
উক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় জানানো হয়, গত জানুয়ারি মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৮.৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এর আগের মাস ডিসেম্বরে ’১৫ ইং স্বাভাবিকের চেয়ে ২৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়।
গত নভেম্বর মাসে সারাদেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়। গত অক্টোবর মাসেও দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়।
গত জানুয়ারি মাসের সার্বিক আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় জানানো হয়, ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বাতাসের সংযোগ ঘটার কারণে সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে এ সংযোগ ঘটায় এ সময়ে রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে রাজশাহী বিভাগে জানুয়ারি মাসে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি (২০৮ শতাংশ) বৃষ্টিপাত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে দেশের ওপর দিয়ে দু’টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম শৈত্যপ্রবাহটি মৃদু আকারের ছিল। এ শৈত্যপ্রবাহে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২৩ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ছিল। এ সময় গোপালগঞ্জে শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা স্থানীয়ভাবে বেড়ে যায় এবং সেখানে ২৫ জানুয়ারি দেশে চলতি শীত মওসুমের সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি সে: তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
চলতি জানুয়ারি মাসে বাতাসের নিম্নস্তরে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকায় সারাদেশে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়। এ কারণে সূর্যকিরণও সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। জানুয়ারি মাসে সারাদেশে সার্বিকভাবে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি ছিল বলে জানান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে ‘বাঘ পালানো’ মাঘ মাস আরও বেশ কিছুদিন থাকতেই শীত উধাও হয়ে গেছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের ডিমলায় ১২.৬ এবং সর্বোচ্চ সাতক্ষীরায় ৩০ ডিগ্রি সে:। ঢাকায় ছিল সর্বোচ্চ ২৮ ও সর্বনিম্ন ১৬.৮ ডিগ্রি সে:, চট্টগ্রামে ২৭.৩ ও ১৬.৫ ডিগ্রি সে:। সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে ৫ দিন পর তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।