Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থনীতির জন্য হুমকি

সব ধরনের গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে গণশুনানিতে বসবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলোর দেয়া প্রস্তাবনা নিয়ে আগামী ৭ আগস্ট এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত।
গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলোর দেয়া প্রস্তাবনা অনুযায়ী গ্যাসের দাম গড়ে ৮৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৪০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। এর পরেই ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে ১৩০ শতাংশ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৭ আগস্ট জিটিসিএলের সঞ্চালন চার্জ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর পর ৮ আগস্ট বিতরণ ও ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের মূল্য হার নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে শুনানি হবে ১০ আগস্ট, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১১ আগস্ট, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১৪ আগস্ট, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিষ্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রস্তাব নিয়ে ১৬ আগস্ট ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাব নিয়ে ১৭ আগস্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া গ্যাসের বাল্ক মূল্যহার নিয়ে ১৮ আগস্ট পেট্রোবাংলা, বিজিএফসিএল, এসজিএফএল ও বাপেক্সের আবেদনের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গ্যাসের আপস্ট্রিম খরচ, সঞ্চালন ও বিতরণ চার্জ এবং ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে গত ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল সময়ের মধ্যে আবেদন করে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। ৩০ মার্চ গ্যাসের সঞ্চালন চার্জ পুনর্নির্ধারণের জন্যও আবেদন করে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। এসব প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে এ গণশুনানির দিন ধার্য করে কমিশন।
বিইআরসির তথ্য অনুযায়ী, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত (মিটারযুক্ত) প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা। বর্তমানে এর দাম ৭ টাকা। এছাড়া গৃহস্থালি কাজে সিঙ্গেল বার্নারের (এক চুলা) দাম ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ১০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। দুই চুলায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে দুই চুলার জন্য প্রতি মাসে পরিশোধ করতে হয় ৬৫০ টাকা।
গত বছর সেপ্টেম্বরে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের ক্ষেত্রে এক চুলার দাম ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়। দুই চলার ক্ষেত্রে ৪৫০ টাকার স্থলে করা হয়েছিল ৬৫০ টাকা।
গ্যাস কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবনায় ক্যাপটিভ পাওয়ারে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম বিদ্যমান ৮ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৯ টাকা ২৬ পয়সা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ হিসাবে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৩০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ২ টাকা ৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৪১ পয়সা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ হিসাবে সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে ৭১ শতাংশ। শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। এ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বিদ্যমান ৬ টাকা ৭৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৯৫ পয়সা প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইভাবে চা বাগানে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি কার্যকর হলে চা বাগানে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়বে ৬৩ শতাংশ। এছাড়া বাণিজ্যিক খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৭২ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার প্রস্তাব করা হয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বর্তমানে এ খাতে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৩৬ পয়সা। আর সিএনজি ও ফিড গ্যাসের দাম ২৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সিএনজি ও ফিড গ্যাসের দাম ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব পেয়েছে বিইআরসি।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই প্রস্তাবনাকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা বলেন, কোম্পানিগুলোর এই প্রস্তাব কার্যকর হলে পণ্য উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। বাড়বে গণপরিবহণের ভাড়া। ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। যার বিরূপ প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখার স্বার্থেই বিদ্যমান গ্যাসের মূল্য না বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে ডিসিসিআই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পরিকল্পনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিকল্প হিসেবে ডিসিসিআই মনে করে, সরকার বিশ্ব বাজারে তেলের হ্রাসকৃত মূল্যের সুযোগ গ্রহণ করে তেল আমদানির মাধ্যমে জ্বালানির অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পারে।
ডিসিসিআই মনে করে, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নানামুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ব্যবসায় ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং রপ্তানি বাধাগ্রস্থ হবে। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি দুই ডিজিটে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে।
ঢাকা চেম্বার মনে করে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির নানামুখী কর্মকা- মেটানোর জন্য শিল্প-কারখানাসমূহে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি, তদুপরি সার্বিকভাবে এ মূল্য বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায় ব্যয় আরও বাড়বে।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহ-সভাপতি ফজলুল হক বলেন, বস্ত্র খাত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। ক্যাপটিভে আবারো ১৩০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই দামের কারণে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। এরই মধ্যে আরও দফা গ্যাসের দাম বাড়লে দেশের বস্ত্র শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।
ডিসিসিআই’র প্রতিক্রিয়া
অর্থনৈতিক রিপোর্টার জানান, গ্যাসের দাম বাড়লে দেশের অর্থনীতি মারাত্মক হুমকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ শঙ্কা প্রকাশ করে ঢাকার ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছে ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই মনে করে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নানামুখী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর ফলে ব্যবসার ব্যয় বাড়বে এবং রফতানি বাধাগ্রস্ত হবে। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে।
ডিসিসিআই মনে করে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির নানামুখী কর্মকা- মেটানোর জন্য শিল্পকারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি। তদুপরি সার্বিকভাবে এ মূল্য বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায় ব্যয় আরও বাড়বে।
বিকল্প হিসেবে ডিসিসিআই মনে করে, সরকার বিশ্ববাজারে তেলের হ্রাসকৃত মূল্যের সুযোগ গ্রহণ করে তেল আমদানি করে জ্বালানির অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। সম্প্রতি গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলো গড়ে ৮৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের ১৪০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। এ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬ টাকা ৭৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ৯৫ পয়সা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ২ টাকা ৫৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৪১ পয়সা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ হিসাবে, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে ৭১ শতাংশ, যার ফলে কৃষি খাতের পণ্য উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে টেক্সটাইল, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতগুলো ইতিমধ্যে প্রচ- চাপের মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পেলে এ খাতগুলোর অগ্রগতির ধারা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গ্যাসের মূল্য আবার বাড়ানো হলে তৈরি পোশাক খাত এবং অন্যান্য আমদানি বিকল্প রফতানিনির্ভর শিল্পপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার সম্ভাবনা কমবে।
বাণিজ্যিক পরিবহন খাতে এর প্রভাব পড়ার কারণে ব্যবসায় ব্যয় বৃদ্ধি ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে (সাপ্লাই চেইন) ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে যার প্রভাব সাধারণ ভোক্তা শ্রেণির ওপর গিয়ে পড়বে। এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধি অনৈতিকভাবে অপব্যবহারের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে সহায়তা করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বর্তমান সরকার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের  দেশে পরিণত হওয়া এবং ঢাকা চেম্বার প্রণীত ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়া লক্ষ্যমাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে, যা কাম্য নয়। তাই দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে ঢাকা চেম্বার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জোর দাবি জানাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থনীতির জন্য হুমকি

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ