Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্ধারিত সময়ের আগেই তীব্র তাপের কবলে বিশ্ব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২০, ৮:৫৪ পিএম

গবেষকদের উল্লেখিত সময়ের কয়েক দশক আগেই মানব সহিষ্ণুতার বাইরে উত্তপ্ত উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন অংশ। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১৭ সালের আবহাওয়া দফতরগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশিত দেখা গেছে যে, তীব্র তাপ এবং আর্দ্রতার সংমিশ্রণ এই সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে দাড়িয়েছে। বৈশি্বক উচ্চতাপের কারণে সৃষ্ট অসহনীয় তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা আসন্ন দশকগুলিতে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। তবে এখন গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, ইতিমধ্যে সেই সঙ্কট ঘটতে শুরু করেছে।
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্ব জুড়ে এশিয়া, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর আমেরিকাতে দফায় দফায় নজিরবিহীন তীব্র তাপমাত্রা এবং আদ্রতা বেড়ে চলেছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে। এই চরম আর্দ্র তাপ অঞ্চলগুলিতে, লোকেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকতে না পারলে তাদের শরীর সহন সীমার বাইরে চলে যায় এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হতে শুরু করে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত খরতাপে এমনকি ছায়ায় থাকা সুস্বাস্থ্যের অধিকারীরাও কাপড় না পরে এবং সীমাহীন পানীয় পান করেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা যায় যে, কোনো ব্যক্তি শারীরিক সুস্থতার শীর্ষে থাকলেও, যখন তাপ সূচক ১৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে (বা ওয়েট বাল্বের উপর ৩২ সেলসিয়াস) এ পৌঁছায়, তখন বাইরের কাজকর্ম করা অসম্ভব হয়ে যায়। গত আগস্টে আরেকটি হিটওয়েভ চলাকালীন মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সর্বাধিক রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল ১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
উন্নয়নশীল বিশ্বে তাপ এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধিতে প্রাণঘাতী প্রভাব পড়বে। যখন আপনার জীবিকা বাইরের কাজের উপর নির্ভরশীল এবং বিদ্যুতের অভাব, তখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছাড়া চরম তাপ এড়ানো শক্ত। প্রচন্ড উত্তাপ অঞ্চলগুলিকে জনবসতিহীন করে তুলতে পারে এবং অনেক সম্প্রদায়কে স্থানান্তরিত করতে পারে। ধনী দেশগুলিতে এসি চরম আর্দ্রতা এবং উত্তাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে যদি হিট ওয়েভ আরো ঘন ঘন দেখা যায়, তবে এটি মানুষকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাড়ির অভ্যন্তরে বাধ্য করতে পারে।
করোনাভাইরাস লকডাউন চলাকালীন বাড়িতে বাড়তি সময় অবস্থান করার অর্থনৈতিক প্রভাবগুলি সারা বিশ্বে তীব্রভাবে অনুভ‚ত হচ্ছে। ইউনিয়ন অব কনসার্টেড সায়েন্টিস্টের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা ডাহল বলেছেন, গবেষণা অনুযায়ী ইতিমধ্যে কিছু অঞ্চলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে গেছে। কারণ আবহাওয়া দপ্তরগুলি ঘন, উত্তাপ শোষণকারী ভারী কংক্রিটের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির উত্তাপের তথ্য নথিবদ্ধ করে না। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তীব্র-তাপ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ