পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মুদ্রা পাচার মামলায় বিচারককে ‘প্রভাবিত করে’ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিম্ন আদালতে খালাস পেয়েছিলেন। “ওই রায়ের দু’দিন পর পরিবার-পরিজন নিয়ে জজ সাহেব মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। আসার অনুরোধ করার পরেও, এমনকি চাকরি থেকে নোটিস দেয়ার পরও আজ পর্যন্ত ফিরে আসেননি।” গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের রায়ে তারেকের খালাসের রায় বাতিল করে সাজা হওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে করা এ মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেয়া হয়েছিল সাত বছর কারাদ- এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা। খালাসের সেই রায় বাতিল করে গতকাল হাইকোর্ট বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেককে সাত বছরের কারাদ- ও ২০ কোটি টাকার অর্থদ- দেয়। পাশাপাশি মামুনের কারাদ- বহাল রাখা হয়।
নিম্ন আদালতের সেই রায় প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল বলেন, “আমি এ কথা এই রায়ের (হাইকোর্টের) আগে কোনোদিন মুখ থেকে বের করিনি। আজকে বলছি, কারণ উচ্চ আদালতে এটা প্রমাণিত হয়েছে, তিনি যে রায় দিয়েছিলেন সেটা ঠিক ছিল না।”
বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, “লন্ডনে বসে আপিল হবে না। আমরা যদি উনাকে ধরে আনতে পারি, অথবা তিনি যদি এসে আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে আপিল করতে পারবেন।” ‘ধরে আনা’ হলে পরে আপিলের সুযোগ থাকবে কিনা সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা যে আপিলের সুযোগ দেই, সেটা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় এক আসামির ক্ষেত্রে দেখেছি। আমেরিকা থেকে এক আসামিকে ফিরিয়ে এনে তাকে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।”
যুক্তরাজ্য থেকে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ কতটা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, “তারেক রহমানের এতদিনে কোনো মামলায় সাজা ছিল না। এ কারণে এতদিন সেভাবে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়নি। এখন করা হবে।” তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ইন্টারপোলের মাধ্যমে গেলে ফিরিয়ে আনতে পারার সম্ভাবনা আছে। চুক্তি করেও যদি আনতে হয়, তাহলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার চেষ্টা করব।” তারেক রহমানকে দেশে এনে সাজা খাটাতে সব আইনি প্রক্রিয়াই সরকার গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি। “দুদককে অনুরোধ করব, এই রায় কার্যকর করতে রায়ের অনুলিপি পেতে যেন তারা দরখাস্ত করেন এবং সেই দরখাস্ত যেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই দরখাস্ত পেলে তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মন্ত্রী বলেন, নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে এ মামলা লড়ার সুযোগ থাকলেও তারেক তা নেননি, কারণ তিনি দোষী। “জামিন পেয়ে এ মামলায় কনটেস্ট করে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারতেন। তিনি কিছুই করেন নাই। তার মানে এটা অত্যন্ত পরিষ্কার, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ- সেটা ঠিক।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।