Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পসহ কোটি টাকার স্থাপনা হুমকির মুখে

ধুনটের বানিয়াজান স্পারে ফের ধস

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বানিয়াজান স্পার আবারও ধসে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে যমুনা নদীতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ওই স্পারের ৬০ মিটার স্যাংক ধসে যায়। এতে যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পসহ সরকারি-বেসরকারি কোটি টাকার স্থাপনা, বসতঘর ও আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২০০১ সালে ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে শহরাবাড়ি ও বানিয়াজান এলাকায় দুটি স্পার নির্মাণ করা হয়। শহরাবাড়ি স্পারটি কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে গেলেও একমাত্র বানিয়ায়ান স্পারটি টিকে থাকার কারনে শিমুলবাড়ি, বানিয়াজান, কৈয়াগাড়ি, বরইতলী, ভা-ারবাড়ি, ভূতবাড়ি ও পুকুরিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম যমুনার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কিন্তু গত বছর দুই দফা বন্যায় যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনের কারণে বানিয়াজান স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১১০ মিটার স্যাংক ধসে যায়। সে সময় জরুরিভাবে বালুর বস্তা ড্যাম্পিং করে কোনো মতে স্পারটি যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হয়। চলতি বছর ১১ জুলাই বানিয়াজান স্পারের ২৫ মিটার স্যাংক ধসে যায়। বৃহস্পতিবার ওই স্পারের ৬০ মিটার স্যাংক আবারও ধসে গেছে। তবে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত ধসে যাওয়া স্পার মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছর শুষ্ক মৌসুমে স্পারটি মেরামত না করে স্পারের দক্ষিণ থেকে ভা-ারবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ওই প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাথর, বালু, ও সিসি ব্লকবোঝাই শত শত ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত স্পারের উপর দিয়ে চলাচল করার কারনে স্পারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া এক মাস আগে স্পারের নিকট মাহমুদুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় স্পারটি আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। দফায় দফায় স্পারটি ধসে যাওয়ায় যমুনার তীরবর্তী ৮ গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী স্পারটি রক্ষার দাবি জানিয়ে বলেন, স্পারটি মেরামত করা না গেলে ভাটিতে নির্মাণাধীন ৬০ কোটি টাকার তীর সংরক্ষন প্রকল্প সহ ৮টি গ্রাম এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার স্থাপনা ও আবাদি জমি যমুনা নদীতে বিলীন হওয়া আশঙ্কা রয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বের্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশিদ বলেন, স্পার ধসে যাওয়া অংশে বালুর বস্তা ফেলে মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যমুনা নদীর পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে স্পারসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁইছুই করছে।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যমুনার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পসহ কোটি টাকার স্থাপনা হুমকির মুখে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ