পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : দিনমজুরি করে একমাত্র মেয়ে পারুল আক্তারকে স্কুলে ভর্তি করেন তার মা লাবনী বেগম। তার বাবা হোসেন আলী একজন চা বিক্রেতা। স্বামী-স্ত্রীর রোজগারের টাকা দিয়ে একমাত্র পারুল বেগমকে পড়াতেন। ভালো রেজাল্টের আশায় মেয়ের জন্য আল-মামুন নামে এক গৃহশিক্ষককে রাখেন। পারুল আক্তারের পরিবার গরিব হওয়ায় এই সুযোগে গৃহশিক্ষক আল-মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কে একটু অবনতি হওয়ায় গৃহশিক্ষক আল-মামুন নবম শ্রেণীর ছাত্রী পারুল আক্তারকে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করে। এই ঘটনায় স্কুলছাত্রী পারুল আক্তারের পরিবারে ও এলাকায় শোকের মাতম বইছে। হত্যাকা-ের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আগানগর ছোট মসজিদপাড় এলাকায় স্থানীয় লোকজন ঘাতক আল-মামুনের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। স্কুলছাত্রী পারুল আক্তারের লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসায় নিয়ে এলে স্বজন ও আশপাশের লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের মা লাবনী বেগম বলেন, আমি ইসলামপুর ব্যবসায়ীদের ভাত টানার দিনমজুরি করে সংসার ও মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাই। কোনোভাবে সংসার চলে। তার পরেও আমার একমাত্র মেয়ে পারুল আক্তারের ভালো রেজাল্টের আশায় আল-মামুনকে গৃহশিক্ষক হিসেবে রাখি। তিন বছর ধরে মেয়েকে পড়াত আল-মামুন। সে জিনজিরা পীএম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। গৃহশিক্ষক আল-মামুন মাঝেমধ্যে ছোট মসজিদ রোড এলাকায় ব্রাইট পাবলিক একাডেমিতে নিয়ে পড়াত। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিল আল-মামুনের চাচাতো ভাই মো. শামীম হোসেন। ঘটনার পর থেকে শামীম হোসেন পলাতক রয়েছে। ঘাতক আল-মামুনের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানা এলাকায়। আমার পরিবার গরিব হওয়ায় এই সুযোগ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় পারুল আক্তার এসএসসি পাশ করার পর ছাড়া বিয়েতে রাজি হয়নি। এ ঘটনা নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে কিছু দিন ধরে সম্পর্কের অবনতি হয়। বুধবার সকালে আমার মেয়ে পারুল বেগম স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসে। তখন আল-মামুন মোবাইল ফোনে কুয়াকাটা ঘোরার জন্য সদরঘাট আসতে বলে। পারুল বুধবার বিকেলে কাউকে না বলে সদরঘাট টার্মিনালে যায়। পুলিশ জানায়, কুয়াকাটা যাওয়ার জন্য ঈগল-৩ নামে লঞ্চের ৩০৮ নং কেবিন ভাড়া করে। তারা বিকেলে লঞ্চে না উঠে প্রথমে রাজধানীর ভিক্টোরিয়া পার্কে যায়। এ সময় পারুলকে পার্কে বসিয়ে ঘাতক আল-মামুন একটি চাকু কিনে কোমরে নিয়ে লঞ্চে যায়। কেবিনের ভিতর ঢুকে পারুলকে চাকু দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। এ সময় কেবিন দিয়ে রক্ত বাইরে বের হলে এক কেবিন বয় দেখতে পায়। এই খবর লঞ্চের লোকজনকে বললে তারা কেবিনের মধ্যে থেকে আল-মামুনকে ছুরিসহ আটক করে। তারা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করেন।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রী পারুল আক্তার হত্যার ঘাতক আল-মামুনকে আটক করা হয়েছে। সে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. হোসেন আলী থানায় মামলা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।