পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারামুক্ত হওয়ার পর থেকেই কোয়ারেন্টাইনে আছেন বিএনপি চেয়ারপারন বেগম খালেদা জিয়া। কারামুক্তির পর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণে নেতাকর্মীদের দাবি থাকলেও করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির কারণে প্রায় দেড় মাস ধরেই গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই রয়েছেন তিনি। মহামারীর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে আপাতত তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হলেও অসুস্থ অবস্থাতেই রোজা রাখছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। প্রতিদিনই ইফতার করছেন বোন সেলিমা ইসলামের সাথে। বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, অসুস্থতা থাকলেও উনি রোজা রাখছেন। প্রতিদিন আমরা দুই বোন একসাথে ইফতার করি। আর কেউ থাকে না। রাতে খাবারও একসাথেই হয়। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী (শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা) বিকালে এসে সব কিছু ঠিকঠাক করে দিয়ে যায়। খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, দেশের বর্তমান যে সার্বিক পরিস্থিতি, বৈশ্বিক যে অবস্থা, এখন তো সেটা তো সম্ভব নয়। সেজন্য তাকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আর যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেই টিমে যারা সদস্য, তারা সকলে এক্সপার্ট ফিজিশিয়ান।
তিনি বলেন, উনি কোয়ারেন্টিনেই চিকিৎসার মধ্যে আছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা এখনো কাটেনি, অগ্রগতি হচ্ছে ধীর গতিতে। এখনো তার হাত-পায়ে ব্যথা আছে, হাতের আঙ্গুল আগের মতই বাঁকা হয়ে আছে, ডায়াবেটিসও পুরো নিয়ন্ত্রণে নেই। দোয়া করবেন উনি যেন দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাসায় ফেরার পর থেকে চিকিৎসকদের একটি দলের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। কয়েক সপ্তাহ পরপর তারা এসে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে যান। সর্বশেষ গত সাপ্তাহেও তারা ফিরোজায় গিয়েছিলেন। ওই চিকিৎসক দলের একজন বলেন, উনার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার। দীর্ঘ সময় ফিজিও থেরাপি,ফলোআপ আর মনিটরিংয়ের মধ্যে তাকে থাকতে হবে। পরিবারের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসায় খালেদা জিয়ার সময় কাটে ইবাদত-বন্দেগিতে। মাঝে মাঝে টেলিফোনে দুই ছেলের স্ত্রী ও নাতনীদের সঙ্গে কথা বলেন। বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও লন্ডন থেকে চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান।
গুলশানে খালেদা জিয়ার ভাড়া বাড়ি ‘ফিরোজা’র নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, বাসায় প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। চিকিৎসক দলের সদস্য আর কয়েকজন নিকট আত্মীয় ছাড়া আর কারও ঢোকার অনুমতি নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।