পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীর বাজারগুলোতে বিভিন্ন সবজির দাম এখনও কিছুটা চড়া। নতুন করে সবজির দাম পরিবর্তন হয়নি। তবে রোজার আগের তুলনায় এখন সবজির দাম একটু বেশি। কমেছে আদা ও চিনির দাম।
করোনার প্রকোপের মধ্যে আদার অস্বাভাবিক দাম বেড়েছিল। এরপর আদার পাইকারি বাজারে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করায় এখন দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম অর্ধেকের নিচে নেমেছে। আর কমেচে চিনির দামও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদার দাম এখন কমে ১৪০-১৬০ টাকা হয়েছে। আর ৭০-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিনির দাম কমে ৬২-৬৫ টাকা হয়েছে। একশ’ টাকারও কম দামে কেনা আদা পাইকাররা প্রায় আড়াইশ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। অভিযানে বেশি কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।
এরপর থেকেই আদার দাম কমছে। এ কারণে আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি। গত এক সপ্তাহে সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। যেটুকু দাম বাড়ার তা রোজার শুরুতেই বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসা বন্ধের পর দাম বাড়ে। এছাড়া এখন আড়তে মালও কম আসছে। আমার ধারণা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবজির দাম আরও একটু বাড়বে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার আগে ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা। শসার দাম ৩০-৪০ টাকা। ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৮০ টাকা। দাম বড়ার এ তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো, চিচিংগা, পটল, পেঁপেও। রোজার আগে ১০-১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিংগার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। পটলের দাম ৪০-৫০ টাকা। তবে করলা, বরবটি, ঝিঙার দাম আগের মতোই স্থির রয়েছে। বাজার ও মানভেদে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। ঝিঙা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দাম স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি, গরু, খাসির গোশত ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে বয়লার মুরগির কেজি ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন আগের মতোই ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। আর খাসির গোশত কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা। আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৪০০ টাকা। তেলাপিয়া ১২০-১৬০ টাকা, পাঙাশ ১৩০-১৭০ টাকা কেজি, শিং ২৫০-৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৫৫০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৭০০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
চাল বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট ও নাজিরশাল ৫৬-৬৫ টাকা কেজি, মাঝারি মানের পইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা, মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪৫ টাকা। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। লুজ সয়াবিন তেল ৯০-৯৫ টাকা, পাম অয়েল ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মশুরের ডাল ৯০-১০০ টাকা, ছেট দানার মশুরের ডাল ১২০-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।