পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের কথা বিবেচনা করেই টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির।
কলেজগুলোকেও অনলাইনে ক্লাস নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষার্থী ভর্তিও বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। একইসাথে এই সঙ্কটকালী সময়ে শিক্ষার্থীদের সবধরণের ফি আদায়ে চাপ না দিয়ে মানবিক হওয়া এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা-কমচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোদের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী, উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, ইউজিসি চেয়ারম্যান, সদস্য, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং সংশ্লিষ্টদের ভিডিও কনফারেন্সে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল বৃহস্পতিবার নির্দেশনা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
নির্দেশনায় ক্লাস, পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে দুটি বিকল্প প্রস্তা দেয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়- চলতি সেমিস্টারেও কোর্সসমূহের অসমাপ্ত পাঠ্যসূচির উপর অনলাইনে ক্লাস চলবে, ল্যাবরেটরিভিত্তিক কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শ্রেণি কক্ষে সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ক্লাসের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের উপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেকোন অনলাইন প্লাটফর্মের সহায়তায় গ্রহণ করবে। অথবা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় সকল পর্যায়ের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন চলমান নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয় : চলতি সেমিস্টারে কোর্সসমূহের অসমাপ্ত পাঠ্যসূচির ওপর অনলাইনে ক্লাস চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সক্ষমতা অনযায়ী শিক্ষার্থীদের উপযোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেকোন অনলাইন প্লাটফর্মের সহায়তায় গ্রহণ করবে। তত্ত¡ীয় কোর্সের শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে অসমাপ্ত পাঠ্যসূচি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে এবং অনলাইনের কার্যক্রম শুরুর আগে চলমান সেমিস্টারের বিভিন্ন বিষয়ে ইতোপূর্বে ক্লাস উপস্থিতি, পারফরমেন্স, ক্লাস টেস্ট, মিড-টার্ম পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে যা মূল্যায়ন করা হয়েছে তার নম্বর এবং অনলাইনের পঠিত অংশের উপর এ্যাসাইনমেন্ট, কেইস স্টাডি, ভাইভা, ভার্চুয়্যাল প্রেজেন্টেশন নিয়ে যথাযথ স্বচ্ছতা ও মান নিশ্চিত করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন হলে পূর্বের সেমিস্টারের ফলাফল বিবেচনায় আনা যেতে পারে। সকল বিষয়ের ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রকাশ করতে হবে। ল্যাবরেটরিভিত্তিক সকল কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরপরই অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করে সরাসরি শ্রেণি কক্ষে সম্পন্ন করতে হবে।
নির্দেশনায় বল হয়, প্রস্তাব দুটির যেকোন একটি গ্রহণের ক্ষেত্রে অনলাইনে নেয়া ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমপক্ষে ৬০ শতাংশ হতে হবে। শর্ত পূরণকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী ১৭ মে’র মধ্যে অনুমোদনের জন্য ইউজিসিকে জানাতে হবে।
অনলাইনে ক্লাস নিতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয় : যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি, নিকট ভবিষ্যতে শুরুর পরিকল্পনা নেই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয় চলতি সেমিস্টারের অসমাপ্ত ক্লাস, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন কী পদ্ধতিতে করবে তা লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।
ভর্তির বিষয়ে নির্দেশনা : আগামী জুন থেকে অনলাইনে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যাবে। চলমান সেমিস্টারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী সেমিস্টারের কোর্সে রেজিস্ট্রেশন ও ক্লাস করার সুযোগ পাবে। পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই।
সাধারণ নির্দেশনায় বলা হয়, ক্লাস লেকচার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট/অনলাইন পোর্টালে নিয়মিতভাবে আপলোড করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের-ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস লেকচারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাতে হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সক্ষমতা নেই সেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনে ইউজিসির বিডিরেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং এটুআই’র সহযোগিতায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। করোনা পরিস্থিতি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হবে।
এই সঙ্কটের কারণে আর্থিক অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রতি মানবিক হয়ে সেশন/টিউশন/অন্যান্য ফি মওকুফ/হ্রাস/ইনস্টলমেন্টে প্রদানের সুযোগ রাখতে হবে। আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ সময়ে ফি আদায়ে মানসিক চাপ প্রদান সমীচীন নয়। কোন শিক্ষার্থী করোনা সঙ্কটে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়া, চরম আর্থিক অস্বচ্ছতা বা অন্য কোন যৌক্তিক কারণে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তাকে পরবর্তীতে অসমাপ্ত কোর্স সম্পন্ন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। এছাড়া কোন শিক্ষার্থী তার গ্রেড উন্নয়ন করতে চাইলে পরবর্তী সেমিস্টারে তাকে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে সেই সুযোগও দিতে হবে এবং উভয় ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না। যে কোন পরীক্ষা গ্রহণের ৫-৭ দিন আগে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।