পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রেহমান সোবহান বলেছেন, আমরা গত ৩০ বছর ধরে বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করার কথা বলছি। কিন্তু দূষণ বন্ধ হয়নি। এখনো চলছে। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো নিয়ে আরেকটি নাটক আমরা দেখছি। ট্যানারিগুলো তাদের বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। কিন্তু তাদের এখনো সরানো যাচ্ছে না।
গতকাল (শনিবার) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সিপিডি আয়োজিত ‘জলবায়ু সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন : বাস্তব অথবা অবাস্তব?’ শীর্ষক বার্ষিক বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরানো, বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা ও ঢাকা শহরের জলাশয়, খাল দখল করে গড়ে ওঠা আবাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করা থেকে সরে এলেও শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব বাজেট থেকে টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সমর্থ হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা আরও অনেক বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে রেহমান সোবহান বলেন, বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলো জলবায়ু তহবিলে অর্থ না দিলে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে কিনা তিনি সে প্রশ্নও তোলেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাইমেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নলেজ নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রধান সাইমন ম্যাক্সুয়েল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তিনটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সঠিক নীতি প্রণয়ন ও সম্পদের সঠিক বাস্তবায়ন করা।
সাইমন বলেন, প্যারিস সম্মেলনে যা অর্জন হয়েছে তা অবশ্যই একটি বড় অর্জন। অন্তত একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা গেছে। কিন্তু তার ভিত্তিতে প্রত্যেক দেশের জন্য যা করণীয় তা এখনো স্পষ্ট না। তারপরও লক্ষ্য নির্ধারণ একটি বড় সাফল্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল প্রশংসাযোগ্য।
তিনি বলেন, আগামীতে লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন কীভাবে হবে এখন দেখার বিষয়। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে উন্নয়নের ইস্যুটি এখন সবাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজির) মধ্য দিয়ে চিন্তা করছে। কিন্তু এসডিজি দিয়ে চিন্তা করলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় সম্পূর্ণভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু সমস্যার বড় সমস্যা হলো পরিবেশ দূষণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো বাইরের অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে চাপের মধ্যে পড়বে। কারণ পরিবেশ দূষণের জন্য অর্থ চাইলে অর্থদাতারা বলতে পারে এটি তো জলবায়ুর সমস্যা না।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ ছাড়া দেশের জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, কূটনৈতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রশ্নোত্তরপর্বে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।