অনাড়ম্বরভাবে সারাদেশে পালিত হয়েছে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটি। গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সব স্থানে বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের কাছেই বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত। বুদ্ধপূর্ণিমা বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দিনটি সরকারি ছুটির দিন। যদিও করোনা ভাইরাস উপলক্ষে এখন সাধারণ ছুটি চলছে। এ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা সবার জন্য অনাবিল শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক এমন প্রত্যাশা করে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারির ফলে এ বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হবে। আমি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সকলকে নিজ নিজ ঘরে পরিবার পরিজনদের সাথে এ উৎসব উদযাপনের আহŸান জানাচ্ছি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘেœ পালন করে আসছেন। এই সৌহার্দ্য ও স¤প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মের নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে।
বুদ্ধপূর্ণিমার দিনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজাসহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তারা বুদ্ধানুস্মৃতি ও সংঘানুস্মৃতি ভাবনা করে। বিবিধ পূজা ও আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধের মহাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাসহ ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়।
দিনভর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি পালন করে থাকলেও বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার এ উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করা হয়েছে। আয়োজন শুধু বুদ্ধপূজা, মহাসংঘদানের মতো আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ ছিল বলে এই ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন।