পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ‘নিবেদিত প্রাণ’ কর্মীরাই আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এম এ আজিজকে স্মরণ করে বলেন, বারবার আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। কিন্তু নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা এই দলকে টিকিয়ে রেখেছেন। তাই তাদের আদর্শে নেতা-কর্মীদের সবকিছু উজাড় করে রাজনীতি করা শিখতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম ও এম এ আজিজের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির আমরা দুটি কমিটির খসড়া করেছিলাম। সেখানে আমরা এম এ আজিজকে সভাপতি করেছিলাম। আমরা এই কমিটিগুলো দেব। তিনি বলেন, এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে ও সিটি নির্বাচনে যারা দলের পক্ষে কাজ করেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলা করেছেন, কমিটিতে তাদের সম্মান দিতে হবে। প্রায় সাড়ে ৪০০ নেতা-কর্মীর নাম আমার কাছে এসেছে। সবকিছু তৈরি করা আমার কাছে রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এম এ আজিজের মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশের প্রতিটি সংগ্রামে এম এ আজিজ পরিবারের অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে এই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক। তিনি বলেন, এক-এগারোর সময় আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হলো আমার মুক্তির জন্য কখন কারাগারের সামনে, কখন কোর্টে এম এ আজিজ সক্রিয় ছিলেন। সেই সময় মহানগর আওয়ামী লীগ সক্রিয় ছিল বলেই মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত হয়েছিল।
শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বলব-কীভাবে একজন সব ত্যাগ করতে পারে, দেশের জন্য, জনগণের জন্য এবং সংগঠনের জন্য; এটা শিক্ষণীয়। এই শিক্ষা যেন সবাই গ্রহণ করে; এই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তাহলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগী নেতার জন্ম দিয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধু সৃষ্টি করেছিলেন অনেক ত্যাগী কর্মীর। যারা দুর্দিনে দলের হাল ধরেছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (নূরুল ইসলাম) বসে বসে নিজের হাতে পোস্টার লিছেছেন, প্রচারণা চালিয়েছেন। ছয় দফার বেশিরভাগ পোস্টারই লিখেছিলেন তিনি।
আর এমএ আজিজ কাজ করেছেন নীরবে। কখনও হামবরা ভাব দেখাতেন না তিনি। তিনি পার্টিকে শুধু দিয়ে গেছেন, বিনিময়ে কিছুই চাননি,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার ছেলে আজ কমিশনার। আশা করব, বাবার আদর্শ নিয়ে সে তাদের পরিবারের ঐতিহ্য বজায় রেখে কাজ করে যাবে। আমি আছি তার পরিবারের পাশে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এম এ আজিজ পুত্র ওমর বিন আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।