পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ডে বিস্ফোরণ ঘটনায় দায়ী নাইকো। এজন্য ক্ষতিপূরণ পাবে বাংলাদেশ। সুনামগঞ্জের ছাতক গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের মামলার রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সালিশি আদালত (ইকসিড)। ইকসিডের রায়ে নাইকোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ইনকিলাবকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রায়ে যেসব কথা বলা হয়েছে তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশকে জ্বালানি ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে নাইকো। তবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কত হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জ্বালানি খাত ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নাইকোকে। এই ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করবে বাংলাদেশ সরকার।
বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে একটি ছিল বাপেক্সের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের চুক্তি। অন্যটি ছিল গ্যাস সরবরাহ ও কেনাবেচার জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে। কানাডীয় কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেস ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানি বাপেক্সকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী ও ছাতকে গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের দায়িত্ব পায়। ওই দুই গ্যাসক্ষেত্রে নাইকোর ৮০ শতাংশ এবং বাপেক্সের ২০ শতাংশ মালিকানা ছিল। এ ঘটনার আগে থেকেই নাইকো ফেনী গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করে আসছিল। কিন্তু নাইকোর অদক্ষতা ও অবহেলার কারণে সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন দুই দফা গ্যাস বিস্ফোরণ হলে বিপুল পরিমাণ গ্যাস পুড়ে যায় এবং পরিবেশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে ২০০৫ সালের বিস্ফোরণের জন্য সাড়ে ১২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে এক আন্তর্জাতিক সালিশের প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনরি সরকার।
এ আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত। এই রায়ের ফলে নাইকোর দাবি করা পাওনাও পরিশোধ করতে হবে না বাংলাদেশকে। এছাড়া ব্লক ৯ বা কুমিল্লার বাংগুরায় নাইকোর সম্পত্তিও বাংলাদেশ নিয়ে নিতে পারবে। এ বছর সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। সে শুনানিতে আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যে ক্ষতিপূরণ পাবে তার পরিমাণ নির্ধারণ হতে পারে। ২০০৫ সালে ছাতকে কানাডীয় কোম্পানি নাইকো রিসোর্সেস পরিচালিত এই গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের সময় জানুয়ারি ও জুন মাসে পর পর দুন্দফা রিগে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।