পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, জনগণকে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে পরিস্থিতি এই দাঁড়িয়েছে যে, রাষ্ট্র বলে এক অদ্ভুত বিষয়কে চিন্তা করা হচ্ছে। যেখানে শুধু যারা ক্ষমতায় থাকবে তারাই মালিক। এর বাইরে যারা আছে সবাই অরাষ্ট্রীয়। ফলে সাধারণ মানুষকে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। কখনো কেউ রাষ্ট্রবিরোধী বা রাষ্ট্রদ্রোহী। রাষ্ট্র তো জনগণ ছাড়া হতে পারে না। এতে মূলত রাষ্ট্রকেই খ-িত করা হচ্ছে যা আইনত অন্যায়। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, যারা সরকারি দলের বাইরে আছে, নিশ্চিতভাবে তাদের সবাইকে রাখা হচ্ছে রাষ্ট্রের বাইরে। রাষ্ট্রের সংজ্ঞার মধ্যেই তো বলা আছে যে, জনগণ রাষ্ট্রের অত্যন্ত জরুরি ও মূল্যবান উপাদান। সেই জনগণকেই তো বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। সেই রাষ্ট্রকেই তো খ-িত করা হয়েছে। সেদিক থেকে রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি কেউ যখন দুর্বল থাকে, তখন সে সবসময় অন্যভাবে তার ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা করে। এবং তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে। আজকে আমাদের রাষ্ট্র সেই একই কাজ করছে। ‘মুক্তিযুদ্ধ আমার অহঙ্কার’ কথাটি অমরা সব সময় বলি। কিন্তু বলি কীসের জন্যে? ব্যক্তিগত স্বার্থ, সামাজিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। অর্থাৎ আমরা উত্তরাধিকার বেচে বেচে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে চাই। আজকে সময় এসেছে সেই জায়গায় রুখে দাঁড়ানোর। যোগ করেন সুলতানা কামাল। গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, প্রশাসন তথা সরকার যদি সঠিক ভূমিকা রাখত তাহলে এই বিষয় নিয়ে আন্দোলনে যেতে হতো না। চুক্তি হয় তা আবার ভাঙা হচ্ছে। আসলে রাষ্ট্র ফোরটোয়েন্টি হয়ে গেছে। আমাদের রাষ্ট্র চুক্তি ও ভঙ্গ দুই-ই করতে দক্ষ। রামপাল, সুন্দরবন বিষয়ে কী হচ্ছে তা তো সবার জানা। ন্যায়সঙ্গত দাবি হওয়া সত্ত্বেও নির্যাতন ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। সভায় ঐক্যন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য বলেন, আমাদের আদিবাসী সংগ্রামকে দুইভাবে দেখা যেতে পারে। যদি মানবাধিকার সংগ্রাম হিসেবে দেখেন তাহলে এর একটি জায়গার মধ্যে থাকতে হবে। আর যদি আমরা শ্রেণিভেদের দিক দিয়ে দেখি তাহলে সফলতা আসবে। নিজেদের জয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশ আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংয়ের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, অধ্যাপক সাদেকা হালিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।