পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: নায়িকা জয়া আহসান বলেছেন, আমি মুসলিম। মন থেকে চাই পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ পড়তে। জঙ্গিরা যে মানুষ খুন করছে তা কিন্তু ইসলাম সমর্থন করে না। ভারতের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সন্ত্রাস বনাম ইসলাম, ক্যারিয়ার, অভিনয়সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশের টিভি-সিনেমা হয়ে টলিউডে পা রেখেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেও তুমুল সমালোচিত হয়েছেন। অভিনয়ের খোলামেলা নিয়ে বিতর্কিত হলেও নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন বলে জানান।
সাম্প্রতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, জঙ্গিরা ইসলামকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। ইসলামের কদর্যতা দেখাচ্ছে! যেটা ওরা বলছে, যেটা করছে, সেটা তো ইসলাম নয়। এখানে ইসলামকে বিকৃত করা হচ্ছে। কিন্তু যথার্থ যে ইসলাম, সেটা দিয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। ইসলাম অদ্ভূত সুন্দর শন্তির একটা ধর্ম। তিনি বলেন, আমাদের মতো দেশে মানুষের ধর্মবিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু জঙ্গির কদর্যতা ইসলাম নয়। যথার্থ ইসলাম জঙ্গির বিপরীত কথা বলে। ইসলামের সবচেয়ে বড় শক্তি, মানুষের মধ্যে কোনো ক্লাসিফিকেশন নেই। মসজিদে একজন ঈমাম আর গরীব মুসল্লী পাশাপাশি বসে নামাজ পড়েন। আমাদের ইসলাম ধর্মে একই থালা থেকে ভাত খাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। ইসলামের মূল শক্তি কিন্তু সেই জায়গাতেই। আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে সকলে এক। নামাজের দাঁড়ালে একজন বাচ্চা বা ভিখিরির কোনো ফারাক নেই। ইসলামের যে সারমর্ম, সেটাই নতুন প্রজন্মকে বোঝানো দরকার।
জয়া বলেন, আমি অবশ্যই বিলিভার। তবে এক্সট্রিমিস্ট নই। সব ওয়াক্তের নামাজ পড়তে পারি না। কিন্তু চেষ্টা করি। নামাজ ইজ আ কাইন্ড অফ প্রপার মেডিটেশন। নামাজের চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। মন থেকে চাই পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ পড়তে। আসলে বাংলাদেশ এমন একটা জায়গা, সেখানে এমন চিত্রও দেখলাম, ঈদের জামাত হচ্ছে, ৪০ জন হিন্দুধর্মের ইয়ং ছেলে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে, মুসলিমরা নামাজ পড়ছে। এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কিছু হতে পারে না।
নিজের অভিনয় নিয়ে জয়া বলেন, অভিনয় করার তো কোনো বয়স হয় না। যারা বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা হতে চান, তাদের হয়তো বয়স কম হলে ভালো। কিন্তু আমি তো নায়িকা হতে চাই না! নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে হলে, সেটা করে দেব। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে একেবারে ‘মশালা’ একটা ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি যখন একেবারে নতুন তখনো বাবলি-বাবলি ইমেজ ভেঙে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চেয়েছি। আমি যেরকম, তার চেয়ে অনেকটা অন্যরকম চরিত্র করতে আমার ভালো লাগে। একটাই লিমিটেশন। আমাকে সবসময় মহিলার চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। আমার তো এখন পুরুষ চরিত্র করতে ইচ্ছে করে।
‘রাজকাহিনী’ ছবিতে বেশ কিছু বিতর্কিত দৃশ্যে অভিনয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ভীষণ সমালোচনা করেছিল একাংশ। আসলে বাংলাদেশের মানুষরা এক্সট্রিমিস্ট। যে ভালোবাসে ভীষণ ভালোবাসে, আবার কেউ সমালোচনা করলে সাংঘাতিক সমালোচনা করে! কিন্তু আমি যেহেতু অভিনেতা আলোচনা-সমালোচনা দু’টোই নিতে চাই। কয়েকটা থ্রেট মেসেজ পেয়েছিলাম। আমাকে যদি মেরে দেয়, এমন ভাবনা যে আসেনি তা নয়। কিন্তু আমি খুব স্পোর্টিংলি নিয়েছি বিষয়টা। আসলে আমাকে তো আমার কাজ দিয়েই প্রতিবাদ করতে হবে। আমি তো আর কিছু দিয়ে প্রতিবাদ করতে পারব না। কাজই আমার সর্বোচ্চ শক্তি!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।