পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ অপরাধপ্রবণতা ঠেকাতে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ ও মানবতামূলক বক্তৃতা শোনানো হবে। একইসাথে থাকবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী বক্তব্যও। ধর্মের নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চেতনা জাগ্রত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অ্যাসেমব্লিতে জাতীয় সংগীতের পর শিক্ষকরা ১০ মিনিট করে বাচ্চাদের মূল্যবোধের শিক্ষা দেবেন।’ শিক্ষকরাই এই দায়িত্ব নেবেন কারণ তাদের কথাই শিশুদের মনে স্থায়ীভাবে দাগ কাটে। তারাই শিশুদের সহজে মোটিভেট করতে পারেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজের জন্য আজকে বড় সমস্যা সন্ত্রাসবাদ। এর বিরুদ্ধে শিশুদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই চেতনা জাগ্রত করতে হবে।’ ছোট্টশিশুরা যেভাবে সহজে বুঝতে পারবে সেভাবেই শিক্ষকরা কথাগুলো বলবেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টিতে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। তাদেরকেও মোটিভেট করা প্রয়োজন। পরে শিক্ষকরা বাচ্চাদের মোটিভেট করবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সমাজ, ধর্ম, নীতি-নৈতিকতায় অনুমোদন করে না, দেশ সমাজের জন্য কল্যাণকর নয় এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে এমন কিছু মৌলিক কথা, মূল্যবোধের কথা শিক্ষকরা জাতীয় সংগীতের পরপরই অ্যাসেমব্লিতে বা ক্লাসে যেভাবে পারেন শোনাবেন। প্রাথমিক পর্যায়েই শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল্যবোধের গোড়াপত্তন হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়টাই একজন শিক্ষার্থীর নৈতিক শিক্ষার ভালোভাবে গোড়াপত্তন হওয়া দরকার। কারণ এখানে তারা সব শেখে।’ মূল্যবোধের কথা আমাদের বই-পুস্তকে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাই এমনটা নয়। কিন্তু এটা ব্যাপারে যতটা মনোযোগ দেয়া হয় তার চেয়ে বেশি দেখা হয় সে ভালো ইংরেজি জানে কিনা, ভালো বাংলা জানে কিনা। ফলে ওই বিষয়গুলো পিছনে পড়ে থাকে। ‘এখনতো হয়ে গেছে কতখানি নম্বর পাবে, কোন গ্রেডে পাস করবে,। তিনি বলেন, ‘মূল্যবোধটা বড় ব্যাপার, তুমি যতই বিদ্যান হও না কেন? এই জায়গাতে ঠিক না থাকলে স্কলাসটিকা, নর্থ সাউথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও সমাজ ও মূল্যবোধবিরোধী কাজে লিপ্ত হতে পারে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।