পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জঙ্গি ও সন্ত্রাস অর্থায়ন রোধে দেশে কার্যরত সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে কোন ব্যাংক ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার এবং গতকাল বুধবার টানা দুইদিন দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের (ক্যামেলকো) সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এই দুই ঘটনার রেশ না কাটলেও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেশব্যাপী আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যাতে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে জঙ্গি অর্থায়ন করতে না পারে সেজন্য এই সতর্কতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, টানা দুইদিন মঙ্গলবার ও বুধবার ২৮টি করে মোট ৫৬টি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। বৈঠকে বিএফআইইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. নওশাদ আলী চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. নওশাদ আলী চৌধুরী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস অর্থায়নের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আরও সতর্ক ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এ বৈঠক ডাকা হয়। গত দুইদিনের এই বিশেষ বৈঠকে আমরা এন্টি মানি লন্ডারিং ও জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আরও তৎপর হতে বলেছি। এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেসব নির্দেশাবলী রয়েছে, সেগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ এবং পরিপালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে কোন ব্যাংকের বিরুদ্ধে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে অর্থায়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। তবে সম্প্রতি সময়ে সংঘটিত ঘটনাবলীতে অনেক জঙ্গীর নাম পত্র পত্রিকাতে এসেছে। এসব বিষয়ে ব্যাংকগুলো যাতে চোখ কান খোলা রাখে, কোন অসঙ্গতি দেখলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট করে, সেটি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, বৈঠকে জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যাংকের এমডি ও ক্যামেলকোদের বিশেষভাবে তদারকি করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সব ধরনের আইন যথাযথভাবে মেনে চলা, গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ পরিচিতি (কেওয়াইসি) সংগ্রহ করে অ্যাকাউন্ট খোলা, কোনো গ্রাহকের কেওয়াইসি পূর্ণাঙ্গ না থাকলে তা সংগ্রহ ও সংরক্ষণসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য যাচাই করে লেনদেন করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন দিকনির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে কেউ যেন জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন করতে না পারে সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সতর্কতা আরও বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা আরও সতর্ক হবেন।
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৬ ধারায় সন্ত্রাসী কার্যে জড়িত লেনদেন প্রতিরোধ ও শনাক্তে সব ব্যাংক যথাযথ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা আছে। এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিএফআইইউতে রিপোর্ট করতে হয়। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ বা পরিচালনা পরিষদের অনুপস্থিতিতে প্রধান নির্বাহী তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি করবে এবং বিএফআইইউ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা প্রতিপালন করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যাংক উক্ত বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হলে বিএফআইইউ অনধিক ২৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা, সেবাকেন্দ্র, বুথ বা এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত করতে পারে। কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্পিত দায়িত্ব পালন না করলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে অনধিক ২৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং তার পদ হতে অপসারণ করার বিধানও উক্ত আইনে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।