পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খুতবা নির্দিষ্টকরণের বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অপচেষ্টার প্রতিবাদ করেছেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ও নেজামে ইসলাম পার্টির আমির ও সভাপতি। গতকাল পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, খুতরা নির্দিষ্ট করার অর্থ দ্বীনি কাজে আলেম সমাজকে বাধা দেয়ার জন্য তাদের কণ্ঠ চেপে ধরা।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী বলেছেন, আলেম সমাজ, বিশেষ করে মসজিদের খতিব ইমামগণ শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সমাজ গঠনের সেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন যদি সকল জুমা নামাজের জন্য একই খুতবা চালু করা হয়, তাহলে এর অর্থ হবে, সৎ কাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধাদানের দ্বীনি দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া এবং আলেম সমাজের কণ্ঠ চেপে ধরা। কাজেই সম্মানিত ইমাম ও মুসল্লিগণ এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না। তিনি বলেন, এর দ্বারা অপর যে বার্তাটি বহির্বিশ্বে দেয়া হবে তা হলো, এদেশের মসজিদগুলো বুঝি জঙ্গিবাদ তৈরির কারখানা দেশের মানুষ এ ধরনের পদক্ষেপকে মোটেও ভালোভাবে নেবে না। বরং তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষকে জোরপূর্বক সরকারের প্রতিপক্ষের কাতারে ঠেলে দেয়া হবে।
দলের মজলিসে আমেলার (কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ) মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা এনামুল হক আজাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাসান, অর্থ-সম্পাদক মোস্তফা শহীদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা ফারুক আহমাদ, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঞা।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা সৈয়দ আবদুল মালেক হালিম, গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ও শোলাকিয়া ঈদগাহ’র কাছে সন্ত্রাসী হামলার পর জুমার খুতবায় নজরদারির সিদ্ধান্তের পর এবার সারাদেশে অভিন্ন খুতবা পাঠের সিদ্ধান্তকে আনাকাক্সিক্ষত আখ্যায়িত করে বলেছেন যে, এই পদক্ষেপ জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। কেননা, কোনো সন্ত্রাসী হামলায় খতিবদের উস্কানিদানের কোনো সামান্যতম নজির নেই ।
নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি গতকাল এক বিবৃতিতে অভিন্ন খুতবা ও নজরদারির মাধ্যমে খতিবদের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগকে অযৌক্তিক অভিহিত করে করে বলেন, জুমার নামাজে অভিন্ন খুতবা পাঠ করানোর উদ্যোগ খুতবার মৌলনীতিকে ব্যাহত করবে। অথচ খতিবগণই পারেন সন্ত্রাসের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করার লক্ষ্যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।