লকডাউনে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র ১০ টাকা কেজি দরের চাল ও অন্যান্য সামগ্রি সর্বস্তরের মানুষের মাঝে বিক্রির ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিস দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্লব এ নোটিস দেন। নোটিসটি ই.মেল যোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও টিসিবি’র চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, সারাদেশে টিসিবির মাধ্যমে ১০ টাকা মূল্যের চাল এবং অন্যান্য সামগ্রি বিক্রি করা হচ্ছে। সেটি বর্তমানে শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এবং কিছু কিছু পৌরসভা এলাকার মধ্যে সীমিত পরিসরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারণে এর সুফল সারাদেশের নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারছে না। কিন্তু রাষ্ট্র কর্তৃক কম দামে খাদ্যদ্রব্য কেনার অধিকার বাংলাদেশের শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মানুষেরই নয়।বরং দেশের যেকোনো প্রান্তে বসবাসকারি সাধারণ মানুষেরও কেনার অধিকার রয়েছে। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি ছুটি চলছে। সারাদেশে চলছে লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা ব্যাপক আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। তারা নিদারুণ অর্থ সংকটে ভুগছেন। অন্যদিকে যেহেতু এ উদ্যোগটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তাই এ বিষয়টি শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভার মধ্যে সীমিত করে রাখা সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
নোটিসে আরও বলা হয়, খাদ্যের অধিকার, জীবন ধারণের অধিকার, আইনত ন্যায্য অধিকার পাওয়া মানুষের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে খাদ্য, বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা এবং চিকিৎসাকে মৌলিক প্রয়োজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাষ্ট্র উহার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। নোটিস প্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে-মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।