পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আলহাজ্ব মাওলানা শাব্বির আহমেদ মোমতাজী বলেছেন, মাদরাসায় জঙ্গী তৈরী হয় না। মাদরাসার শিক্ষকরা জঙ্গী তৈরী করে না। মাদরাসায় ধর্ম শিক্ষা দেয়া হয়। সভ্যতা, ভদ্রতা, আদব, মানবতাবোধের শিক্ষা দেয়া হয়। শিক্ষা দেয়া হয় মায়া, মমতা, ধৈর্য, স্থৈর্য, সহনশীলতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের। আজকের সমাজ ব্যবস্থা যতটুকু ভালপথে চলছে ততটুকু ধর্মীয় শিক্ষার কারণেই চলছে। ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে সমাজ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তো। সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য বিরাজিত থাকার পরও সমাজের মূল কাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষার উপর। ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে এই সমাজ, কাঠামো ভেঙ্গে পড়তো। তিনি গতকাল নরসিংদী শহরের বাসাইল মাদরাসায়ে গাওছিয়া পেশোয়ারীয়া আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে নরসিংদীর মাদরাসা প্রধানদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। আগামী ৩০ জানুয়ারী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত শিক্ষক মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল জলিল মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই। বক্তৃতা করেন, নরসিংদী জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু রায়হান ভূইয়া। মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা তাইজউদ্দিন ও মাওলানা মজিবুর রহমান প্রমুখ।
মাওলানা মোমতাজী বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন শিক্ষকদের সবচেয়ে কার্যকরী ও সফল সংগঠন। দেশের ইসলামী শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠন এই জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের শত বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এফফিলিয়েশন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের ইসলামী শিক্ষার উপর ধর্মবিদ্বেষী শক্তির প্রত্যক্ষ প্রভাব দূরীভূত হবে। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিক পথে এর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঐকান্তিকতা এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এএমএম বাহাউদ্দীনের চৌকষ চিন্তাধারার কারণে। মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান (র:) বলেছিলেন, আমি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ২৫ভাগ কাজ করে গেলাম। বাকী ৭৫ ভাগ তোমরা আদায় করে নিও। তাঁর সুযোগ্য পুত্র এএমএম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর কার্যক্রমকে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে দেশের মাদরাসা শিক্ষায় আরো সমৃদ্ধি অর্জনের দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের এই সফলতার জন্য ৩০ জানুয়ারী ঢাকায় মহাশিক্ষক সমাবেশের মাধ্যমে এক শোকরিয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কমবেশী ৩০ হাজার শিক্ষক অংশ নিবে।
তিনি নরসিংদী জেলার ৬টি উপজেলা থেকে সকল মাদরাসা শিক্ষকদেরকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানান। প্রত্যুত্তরে নরসিংদীর জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মাদরাসা প্রধানরা বলেন, মরহুম মাওলানা আব্দুল মান্নান (র:) দেশের মাদরাসা সমূহ ও মাদরাসা শিক্ষকদের উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন তার জন্য তিনি দেশের মাদরাসা শিক্ষক তথা ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় থাকবেন। এক সময় মাদরাসা শিক্ষকরা ২০/২৫ টাকা মাসে বেতন পেতেন। সমাজে তাদের কোন মর্যাদা ছিল না। মাওলানা এমএ মান্নান সাহেবের বদৌলতে আজ মাদরাসা শিক্ষকরা হাজার হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন। মাদরাসা শিক্ষকরা আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কারণে মাদরাসা ছাত্ররা ছাত্রবৃত্তি, উপবৃত্তি পাচ্ছে, সরকারের নিকট থেকে বই পাচ্ছে।
নরুসিংদী: ৩০ জানুয়ারী ঢাকায় শোকরানা শিক্ষক মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে নরসিংদীর মাদরাসায়ে গাওছিয়া পেশোয়ারিয়া সুন্নীয়া আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে নরসিংদী জেলা মাদরাসা প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব আলহাজ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।