পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আছে ঢেউ। সকালে সোনা রোদ। গোধূলীর রক্তিম আভা। তবুও চারিদিকে সুনসান। এ এক অচেনা পতেঙ্গা শহর। দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট পতেঙ্গা সৈকতের এমন চিত্র কখনো দেখেনি কেউ। গোর্কি নয়, করোনার ছোবলে এমন জনমাবনহীন পতেঙ্গা।
লুসাই কন্যা কর্ণফুলীর মোহনা। আছড়ে পড়া সমুদ্রের ঢেউ। আদিগন্ত বিস্তৃত বালুকাময় সৈকত। দূরে বঙ্গোপসাগরে সারি সারি বিদেশী জাহাজ। সবই আছে, নেই শুধু সৌন্দর্য পিয়াসী পর্যটক। যতদূর চোখ যায় খাঁ খাঁ। নেই সাগর থেকে মোহনায় ছুটে চলা স্পিডবোট, নৌকা-সাম্পান। থেমে গেছে ফটোগ্রাফার, হকারদের হাকডাক। সৈকত মার্কেট, হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ।
সাগরে গর্জনেও ভিন্ন সূর। বিরহের বেদনা, করুণ মুর্ছনা। অসীম শূণ্যতায় হাহাকারে দাঁড়িয়ে জাহাজের সারি। জোয়ারে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে আসা যাওয়া করছে বড় বড় জাহাজ। কর্ণফুলীর দু’পাড়ের ব্যস্ততা নেই। বন্ধ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
ওপারে কাফকো, সিইউএফএল, মেরিন একাডেমিতে নেই ব্যস্ততা। নেভাল সৈকতের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্যে সবই আছে মানুষ ছাড়া। পতেঙ্গায় মেগাপ্রকল্প কর্ণফুলী টানেল, রিং রোড, এক্সপ্রেসওয়ের কাজ বন্ধ। বারো নম্বর ঘাটে নৌবাহিনীর বোটক্লাবে যেন কেউ নেই। ঘাটে বাঁধা প্রমোদ জাহাজ। পাশে বিমান বাহিনীর বে-ভিউ রেস্টুরেন্ট নীরব।
স্তদ্ধ জীবনযাত্রা। সংক্রমণ এড়াতে মানুষ ঘরেবন্দি। সুযোগ পেলেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে যারা ছুটে যেতেন সৈকতে। তাদের মন পড়ে আছে সেই ঝাউতলায়। এখানেও কর্মহীন হাজারো মানুষের নীরব কান্না। এতো শূণ্যতায়ও প্রকৃতি বসে নেই। ভিন্ন এক রূপে সাজছে বন্দরের ধারক কর্ণফুলী, পতেঙ্গা সৈকত।
পরিবেশবিদ ও কর্ণফুলী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, দূষণ কমে নদী তার আসল রূপে ফিরছে। কর্ণফুলীতে এখন ডলফিনের নাচন দেখা যাচ্ছে। বৈরী পরিবেশে সরে যাওয়া হরেক প্রজাতির মাছও ফিরছে। মানুষ ঘরবন্দি তবে প্রকৃতি বিকশিত হচ্ছে। মুক্ত বাতাসে নদীর সাথে আকাশের নীলের মিলনে অন্যরকম এক বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ভ‚সম্পত্তি বিভাগের সহকারী ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন, সীমিত আকারে জাহাজ চলছে, নৌযান বন্ধ। এতে নদী দুষণমুক্ত হচ্ছে। তবে নৌবাণিজ্য কমে যাচ্ছে। এটি জীবন জীবিকায় প্রভাব ফেলছে। নদী তো জীবনের জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।