Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিন মনের কথা শুনুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪২ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৬

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিন। তারা যাতে সঠিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। ছেলেমেয়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্য মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের কাছে টেনে নিন। তাদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করুন। ছেলেমেয়েরাও যেন মা-বাবার সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে পারে, পরিবারে সেই পরিবেশ তৈরি করুন।
গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে ভিভিআইপি নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী এসএসএফের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের সময় দেওয়া মা-বাবার কর্তব্য বলে মনে করি। সন্তানকে সময় দিতে হবে। তাদের খোঁজখবর নিতে হবে। তারা কার সঙ্গে মেশে, কোথায় যায়, সেটা জানতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। ধর্মকে অবমাননা ও অসম্মানিত করা সহ্য করা হবে না। এ ক্ষেত্রে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের মধ্যে কীভাবে ধর্মান্ধতা ঢুকছে, সেই শিকড় খুঁজে বের করতে হবে। এর পেছনে কারা কারা অর্থ দিচ্ছে, কারা ছেলেমেয়েদের মানসিক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, সেটা বের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা এখন ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তা প্রতিরোধেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পারদর্শী হতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের কথা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন তদন্ত করছি, আসামি ধরছি, সেটা করলেই শুধু হবে না। সামাজিকভাবে একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতরে সচেতনতা আনতে হবে। প্রত্যেকের ভেতর জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর হামলাকারীদের সম্পর্কে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে সরকার ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, হামলায় অংশ নেওয়া তরুণদের অনেকেই দেশের নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা বেশ কয়েক মাস আগে বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়েছে। এ রকম আরও অন্তত ১৭ জনের সন্ধান কর্তৃপক্ষ পেয়েছে, যাদের সঙ্গে পরিবার বা স্বজনদের যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন ধরে। তারাও জঙ্গি কর্মকা-ে জড়িয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিত্তশালীদের সন্তানদের ‘জঙ্গি হয়ে যাওয়ার’ কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, মনে হচ্ছে যেন অভাব না থাকাটাই তাদের একটা মানসিক কষ্ট দাঁড়াচ্ছে। এ কারণে সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের সম্পর্ক আরও ‘নিবিড় ও দৃঢ়’ করার পাশাপাশি তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
ইংরেজি মাধ্যমে পড়া আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন তরুণ স্বাভাবিকভাবে ‘উদার মনোভাবসম্পন্ন’ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু তরুণ কীভাবে ‘ধর্মান্ধ’ হয়ে উঠছে সেই প্রশ্নও শেখ হাসিনা তুলে ধরেনÑইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। কিন্তু সেই ইসলাম ধর্মকে আজ প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিচ্ছে। কাজেই আমরা আমাদের ধর্মকে কোনোমতেই অসম্মানিত হতে দিতে পারি না। যাদের কারণে এগুলি হচ্ছে অবশ্যই আমরা তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেব, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান এবং দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একথা কথা মনে রাখতে হবে যে, জনগণের শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। কাজেই জনগণকে নিয়েই এ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন ইদানীং পাল্টে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে এজন্য প্রতিটি বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গুলশান বা শোলাকিয়ার ঘটনা, গুপ্তহত্যা, এর আগে ছিল অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষকে পুড়িয়ে মারা। এসব ঘটনার ফলে আমার যেটা মনে হয়, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি বা স্বাধীন বাংলা বা বাঙালি জাতি এভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে, বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করবেÑসেটা যারা চায়নি, তাদেরই একটা চক্রান্ত এখানে কাজ করে।
এসএসএফের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বাহিনীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। তিনি এসএসএফ সদস্যদের ‘পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আনুগত্যের’ কথাও তুলে ধরেন। অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও এসএসএফের মহাপরিচালক শফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের উন্নয়নে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত। দেশের মানুষের কল্যাণ করাই তার লক্ষ্য। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত নন। আমার ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা হয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় রক্ষা পেয়েছি। একটা বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তায় থাকি, যারা আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে, আমার কারণে তাদের যেন কোনো ক্ষতি হয়ে না যায়।
রাষ্ট্রের সকল নিরাপত্তা বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা অর্জনের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করছি যে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এর ধরন বদলেছে। যে কারণে আমি প্রত্যেক বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি এই অশুভ শক্তিকে দমনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের আহ্বান জানাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার একদিকে যেমন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে, অপরদিকে ধ্বংসাত্মক কাজে এগুলোর ব্যবহার মানুষের জীবনমানকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সে কারণেই আমি মনে করি, প্রত্যেক বাহিনীরই আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি এগুলো ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুই তার সরকার করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এসএসএফ সদস্যদের কর্মকা-ের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ফোর্স তাদের অন্তর্ভুক্তিকাল থেকেই উচ্চ মানসিক শক্তি, সর্বোচ্চ আনুগত্য এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, এসএসএফ কর্মকর্তারা যেভাবে তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব বিগত ৩০ বছর ধরে অত্যন্ত আস্থার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন, সেভাবেই আগামীর দিনগুলোতেও তারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
এই বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকা- সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য সরকার এর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যেসব পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছে সেগুলো দ্রুতত সম্পন্ন করার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্ট নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসায় পাকিস্তান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অসামান্য সাফল্য অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পাকিস্তান।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পাকিস্তানের বিদায়ী হাইকমিশনার সুজা আলম এ কথা বলেন। হাইকমিশনার বলেন, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে পাকিস্তান শিক্ষা নিতে পারে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, সুজা আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
হাইকমিশনার এ বছরের নভেম্বরে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নওয়াজ শরীফের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের পারফরমেন্সের ভূয়সী প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গত তিন বছর ধরে খুবই ভালো খেলছে।
হাইকমিশনারের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, বাংলাদেশ টিম যেভাবে সাহসিতকার সঙ্গে খেলছে, তাতে তাদের প্রতিপক্ষে কোন দল খেলছে তা নিয়ে ভাবতে হবে না।
দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশই শিক্ষা ছাড়া কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। এজন্যই তার সরকার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে।
আমরা দরিদ্র লোকদেরকে তাদের সন্তান স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত করেছি। আমরা পিতা-মাতাকে প্রণোদনা দিচ্ছি যাতে তারা তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠান। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় শত ভাগ।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার দেশব্যাপী ১৩ হাজার ৭০০ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ লোকদের বিনা মূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দূতের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে তার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।



 

Show all comments
  • শাহে আলম ২০ জুলাই, ২০১৬, ১:৩১ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিন। তারা যাতে সঠিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। ছেলেমেয়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্য মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের কাছে টেনে নিন। তাদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করুন। ছেলেমেয়েরাও যেন মা-বাবার সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে পারে, পরিবারে সেই পরিবেশ তৈরি করুন।.......................................... দেশ থেকে জঙ্গি দমন ও নতুন করে কাউকে যাতে এর সাথে সম্পৃক্ত করতে না পারে তার জন্য এগুলোই হলো সঠিক পদ্ধতি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিন মনের কথা শুনুন : প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ