পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : হুমায়ূন আহমেদ! এক জাদুকরী নাম! অলৌকিত সত্তার এই কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ দেশের তরুণ-তরুণীদের বইমুখী করে তুলেছিলেন। গল্প-নাটক-উপন্যাসে তার সৃষ্টিশীল চরিত্র অনুকরণ-অনুসরণ করেছে দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণী। তার লেখায় উদ্বুদ্ধ হয়ে হিমু, শুভ্র, রুপা, মিসির আলী চরিত্রগুলোকে দেখা যেত রাজধানী ঢাকার রাজপথ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, বইমেলা আর ৮ ফাল্গুনে ঘুরে বেড়াতে। এখন যে দর্শকরা ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়াল দেখার জন্য সন্ধ্যার আগে ঘরে ফেরেন; ঘরের মা-খালা-ভাবীরা রান্নার কথা ভুলে গিয়ে টিভি সেটের সামনে থাকেন; তারা হুমায়ূনের ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘আজ রবিবার’ সিরিয়াল দেখার জন্য বিটিভির সামনে বসে থাকতেন। শত-হাজার কবি-সাহিত্যিকের এই দেশে পাঠকরা যখন রোমেনা আফাজ ও শরৎ চন্দ্রের চটি বাইয়ের পর বই পড়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়; তখন হুমায়ূন আহমেদ কল্প-কাহিনীর যাদুকর হয়ে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো তাদের বইমুখী করে তোলেন। দেশের কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরা হুমায়ূনের বই পড়তে বাংলা একাডেমীর বইমেলায় লাইন দিয়ে বই কেনেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া যে ছাত্র-তরুণদের বইয়ের দিকে চোখ দিতে বাধ্য করেছিলেন যাদুকরী লেখনীর মাধ্যমে হুমায়ূন; সেই তরুণদের এখন মগজ ধোলাই হচ্ছে; জঙ্গির খাতায় নাম লিখিয়ে তারা মানুষ খুন করছেন! ইয়াবা-গাঁজায় আসক্ত হচ্ছেন। দেশে বর্তমানে হাজার হাজার লেখক-কবি-সাহিত্যিক লাখো লাখো বই প্রকাশ করছেন অথচ সেগুলো পাঠকদের টানছে না। হাজার লেখক যা পারছেন না হুমায়ূন আহমেদ একাই তা পেরেছিলেন। সেই হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল গতকাল। কিছু সংগঠন তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেও রাষ্ট্রীয় ভাবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। কিছু স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বিজ্ঞাপন এবং ব্যবসায়িক স্বার্থে ‘হুমায়ূনকে বিক্রী’ করতে অনুষ্ঠানাদি করলেও বাংলা একাডেমী, শিশু একাডেমী, এফডিসি, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো কর্মসূচি পালন করেছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও না! তাহলে কি হুমায়ূন আহমেদ দেশের নষ্ট রাজনীতির শিকার! আধুনিকতার নামে অপসংস্কৃতির ধারায় এবং তথাকথিত প্রগতিশীলদের সারিতে নিজেকে না জড়ানোয় কি হুমায়ূনের প্রতি এ অবিচার? রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরা নিজেদের ঘরানার হওয়ায় আউল-ফাউল কবি-সাহিত্যিকদের জন্মবার্ষিকী-মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দৌড়ঝাঁপ করেন; হৈচৈ ফেলে দেন। অথচ হুমায়ূনের মতো কালজয়ী লেখকের মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে তাদের কোনো ‘রা’ নেই! কোথায় নেই হুমায়ূন! গল্প, গান, উপন্যাস, সিনেমা, নাটক সবখানে তিনি দ্যুতি ছড়িয়েছেন। বাংলা সাহিত্য-নাটক-সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তারপরও রাষ্ট্রের কেন এই উদাসীনতা?
দিল্লী-কোলকাতার তাঁবেদার তথাকথিত প্রগতিশীল কবি-লেখক গোত্রভুক্ত ছিলেন না হুমায়ূন আহমেদ। দেশের তরুণ-তরুণী তথা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনকে বইয়ের দিকে টানতো তার লেখা। মধ্যবিত্তের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা নিয়ে লিখছেন। পাঠকদের বিমোহিত করতেন। তার বই পড়তে শুরু করে তা শেষ না করে পাঠকরা উঠতে পারতেন না। পাঠক ধরে রাখার অলৌকিক সত্তার অধিকারী হুমায়ূনকে ‘দেয়াল’ নামক একটি উপন্যাসের জন্য বিতর্কিত করার চেষ্টা হয়। তারও আগে তার লেখার সাহিত্য মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। হুমায়ূনকে ঠেকানোর নানা চেষ্টা হয়েছে। আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিভাকে কি মানুষ ঠেকাতে পারে! এদেশের পাঠক-পাঠিকারা যখন সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, যাযাবর, শীর্ষেন্দুর বইয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়ে তখন হুমায়ূন আহমেদের আবির্ভাব ঘটে। কোলকাতার লেখকদের বইকে টেক্কা দিয়ে হুমায়ূনের বই এদেশের বইপ্রেমী পাঠকদের মধ্যে মাদকতা ছড়ায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন কোলকাতার বাংলা ভাষার লেখকরা। কিন্তু তাদের দালাল বাংলাদেশের কিছু বুদ্ধিজীবী লেখক হুমায়ূনের লেখার ‘সাহিত্য মান’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হুমায়ূনের লেখাকে অখাদ্য হিসেবে প্রচার চালানো হয়। হুমায়ূন আহমেদকে সর্ব প্রথম ‘অপন্যাসিক’ উপাধি দেন এ দেশের মহান (!) সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, খাঁটি বঙ্গীয় নাস্তিক হুমায়ূন আজাদ। এক সময় এই হুমায়ূন আজাদের নাম শুনলে আওয়ামীপন্থী সংস্কৃতিসেবীরা বলতো, এইডা কেডা? ইসলাম বিদ্বেষী হওয়া, ‘নারী’ নামের সুড়সুড়ি দেয়া বই লেখা, হুমায়ূন আহমেদের লেখার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সেই হুমায়ূন আজাদের নাম হঠাৎ ছড়িয়ে পড়লো সর্বত্র! সবাই বলতে লাগলো, ‘ওই যে ওই বেটা, যে হুমায়ূন আহমেদকে গালি দিছে?’ হুমায়ূন আহমেদ-এর সমালোচনা করে নিজেকে ধন্য করা হুমায়ূন আজাদের কাহিনী সবার জানা। বাস্তবতা হলো জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেককেই হুমায়ূন আহমেদের লেখার সাহিত্য মান নিয়ে বিতর্ক করেছেন। আসলে ওই বিতর্কটা তাদের কাছে ফ্যাশন। নিজের জ্ঞান জাহির করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। আবার কেউ প্রতিহিংসার কারণে সেটা করেছেন।
হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ সৃষ্টি ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো/ চলে এসো এক বরষায়’ ‘ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময়/ চাঁদনি পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়’ ‘একটা ছিলো সোনার কন্যা, মেঘ বরণ কেশ/ ভাটি অঞ্চলে ছিলো সেই কন্যার দেশ/ দুই চোখে তার আহারে কী মায়া’ ‘চাঁদনী পসর রাইতে যেন আমার মরণ হয়’ ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে যা যা তুই উড়াল দিয়ে যা’ ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’সহ অসংখ্য হৃদয়স্পর্শী জনপ্রিয় গান। নাট্যকার হিসেবে যেমন নন্দিত হয়েছেন; তেমনি চলচ্চিত্রকার হিসেবেও সমাদৃত। বাংলা কথাসাহিত্যের সংলাপ প্রবণে নতুন শৈলীর জনক হুমায়ূন আহমেদের দুই শতাধিক গ্রন্থের বেশকিছু পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার গ্রন্থ।
সাহিত্যমান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও হুমায়ূন আহমেদ লেখক হিসেবে জাদুকরই ছিলেন। বাংলাদেশের বই পাঠক-টিভির দর্শক ও সিনেমার দর্শকরা অবাক বিস্ময়ে দেখেছে তাঁর আশ্চর্য সৃজনশীলতা। যেখানেই হাত দিয়েছেন গল্প-উপন্যাস-নাটক-চলচ্চিত্র-গান সেখান থেকেই তুলে এনেছেন হীরা-জহরত-মণি-মানিক্য। বই মেলায় এখনো তার লেখা বই সর্বাধিক বিক্রী হয়। অথচ তিনি জীবন শুরু করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক হিসেবে। অতঃপর সামান্য এক কথাকার, গল্প লেখক। হুমায়ূন আহমেদ যে অলৌকিক মেধা নিয়ে জন্মেছিলেন তা বোঝা যায় তাঁর ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাজের দিকে তাকালেই। তিনি যখন সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন, সেগুলোকে নিয়ে গেছেন এক ভিন্নতর উচ্চতায়। বইগুলো শুধু বিজ্ঞান বা ফিকশন থাকেনি, তাঁর হাতে পড়ে হয়ে উঠেছে মানবিক অনুভূতির দলিল। তাঁর রচিত সায়েন্স ফিকশন এই একটি জায়গায় পৃথিবীর অন্য সব সায়েন্স ফিকশন থেকে আলাদা। আবার মানব মনের গূঢ়-অপার রহস্য নিয়ে রচনা করেছেন মিসির আলী সিরিজ। এ উপন্যাসটি কার্যত এক গভীর মানবতাবোধে উজ্জীবিত। এমনকি তাঁর হিমু উপন্যাসের হিমু চরিত্র দিয়ে প্রথম দিকে খুঁজেছেন প্রকৃতির অব্যাখ্যাত রহস্য। কিশোর-কিশোরী পাঠকদের তা খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মানুষের জীবনের ঘরে যদি দুটি দরজা থাকে; তার একটি হলো বিজ্ঞান, যুক্তি, দর্শন, ইতিহাস ও মনোবিজ্ঞানের। এগুলো দিয়ে এই জীবনকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা চলছে হাজার বছর ধরে। আর অন্য দরজাটি এখনো তালাবদ্ধ। ওই দরজা রহস্যময়তায় ভরা। হুমায়ূন সেই দরজাটি খুলতে চেয়েছিলেন হিমুকে দিয়ে। টিভি দর্শকদের কাছে তিনি কি কম জনপ্রিয় ছিলেন! আশির দশকের গোড়ার দিকে তার লেখা ‘এইসব দিনরাত্রি’ বিটিভির বিপুলসংখ্যক দর্শকের কাছে সমাদৃত হয়। শুধু কি তাই; নব্বইয়ের দশকে শুরুর আগ থেকেই দীর্ঘদিন হুমায়ূন ছিলেন টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক নামের মহাকাব্যের রচয়িতা রাজলেখক। সর্বত্রই হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে হুলুস্থুল। প্রকাশকরা,পত্রিকার সম্পাদকেরা তার লেখা প্রকাশের জন্য এক দুই চার বছর আগে টাকার বা-িল দিয়ে আসতেন। হুমায়ূনের বই মানেই হিট: বিটিভিতে হুমায়ূনের নাটক মানেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। তখন দেশে এতো টিভি ছিল না। বিটিভিই ভরসা। হুমায়ূনের নাটক মানেই টেলিভিশনের সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়া; পেশা-বয়স নির্বিশেষে সব ধরনের দর্শকদের ক্লান্তিহীন উপভোগ! নাটক নিয়ে মিডিয়ায় হাজার হাজার চিঠি। ফেসবুক-ব্লগ-টুইটার ছিল না। দর্শকরা পত্রিকার পাঠকের মতামত কলামে মতামত তুলে ধরতেন। ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘আজ রবিবার’ ইত্যাদি ধারাবাহিকের কথা এখনো দর্শকরা ভোলেননি। কোথাও কেউ নেই নাটকের ফাঁসির হাত থেকে বাকের ভাইকে বাঁচাতে লাখ লাখ দর্শকের আকুতি। হাজার হাজার দর্শক ঢাকার রাজপথে মিছিল শ্লোগান করেছেন। ‘বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।’ টিভি নাটকে হুমায়ূনের এই বাজিমাত সমসাময়িক অনেক কবি-সাহিত্যিক ভালভাবে মেনে নিতে পারেননি। তারা তার বিরুদ্ধে নানা ভাবে বিষোদগার করেন। এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। টিভির মধ্যবিত্ত দর্শকরা হুমায়ূনের নাটকে দেখলেন নিজেদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, ঠাট্টা-দুষ্টুমি, আবেগ-অভিমান, সর্বোপরি গোপন-অপ্রকাশিত-অচরিতার্থ আকাক্সক্ষার চিত্র। হুমায়ূন আহমেদ দেখলেন দেশের সিনেমা হলে দর্শক কমতে শুরু করেছে। মুম্বাইয়ের নকল ছবি, নকল গল্প এবং গল্পহীন সিনেমার লম্ফঝম্ফের কারণে দর্শকরা সিনেমা হল বিমুখ হচ্ছে। দেশের একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নামলেন সিনেমা নির্মাণে। বই বিমুখ তরুণ-তরুণীদের বইমুখী করতে বাংলা সাহিত্যে তিনি যেমন যোগ করেছেন নতুনধারা; টিভি নাটকের ‘ফর্মুলা’ ভেঙে যোগ করেছেন ভিন্নমাত্রা; তেমনি চলচ্চিত্র নির্মাণে নিয়ে এলেন স্বতন্ত্র শৈলী। তার তৈরি করা ছবি সিনেমা হল বিমুখ রুচিশীল শিক্ষিত শ্রেণীর দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে হাতছানি দিয়ে ডাকতে শুরু করলো। সাড়া পড়ে গেলে দেশ-বিদেশের দর্শকদের মধ্যে। হুমায়ূন আহমেদ ৮টি ছবি নির্মাণ করেছেন। এই ছবি হলো- আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া, নয় নম্বর বিপদ সংকেত, আমার আছে জল এবং ঘেটুপুত্র কমলা। প্রতিটি ছবি ব্যবসা সফল। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ছবি দেশ-বিদেশে পুরস্কার পেয়েছে।
নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী চলে গেল। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায়। ২০১১ সালে তার অন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে তার পরিবার এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, কোরআন খতম, আলোচনা সভা, রক্তদান, মিলাদ-দোয়া মাহফিল, এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ক্যান্সার সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ ইত্যাদি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালনের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ হুমায়ূনের মতো ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করা জাতীয় কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশের নামে যারা বিদেশী সংস্কৃতি ফেরি করছেন; কথায় কথায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সভা-সমাবেশ করছেন; হুমায়ূন প্রসঙ্গে তারা নীরব। সুবিধাবাদীদের কথা বাদ; প্রশ্ন হলো ক্ষণজন্মা হুমায়ূন আহমেদের প্রতি রাষ্ট্র কেন উদাসীন থাকবে? হাজার মিলিয়ন ডলারের এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।