পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719765100](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেলা প্রশাসকের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ বিভাগের তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে গ্রেফতার হয়েছেন আব্দুল মতিন নামে এক ধর্মবিরোধী উস্কানিদাতা। পবিত্র কোরআনের তালিম ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তরালে কোরআন-হাদিসবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্যসংবলিত পুস্তিকা প্রকাশ ও তা ফেসবুকে প্রচার করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মনোহরদী থানা পুলিশ গত সোমবার রাত ৩টায় তাকে মনোহরদী উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, কোরআন তালিম ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তরালে মো. আব্দুল মতিন নামে মনোহরদী উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ধরাবান্দা ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন দীর্ঘদিন যাবত কোরআন-হাদিস সম্পর্কে জঘন্যতম মিথ্যা ও মনগড়া উক্তি লিখে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। পুস্তিকার নাম দেয়া হয় ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর একই এলাকার তাওহিদি জনতার পক্ষে মির্জাপুর আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাওলানা আব্দুর রশিদসহ ১৩৭ জন ধর্মপ্রাণ আলেম, ওলামা ও ধর্মভীরু ব্যক্তি এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করেন। লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের সুপারিশসংবলিত এই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, একই উপজেলার নরেন্দ্রপুর মৃত মুজাফ্ফর আলী মুন্সীর পুত্র আব্দুল মতিন ধরাবান্দা ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কোরআন তালিম ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অন্তরালে কোরআন ও হাদিসের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন। শুধু তাই নয়, ‘সত্য কখনো গোপন থাকে না’ নামে একটি বই ও ফেসবুক আইডিটিতে একশ’রও অধিক ইসলামবিরোধী পঙ্ক্তি প্রচার করেছেন। এর মধ্যে জঘন্যতম ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য হচ্ছে রাসুল (সা.)-এর মুখ থেকে নিঃসৃত পবিত্র বাণীসমূহ শয়তানের বাণী। এ কথাটির সাথে সালমান রুশদীর স্যাটেনিক ভার্সেস বইয়ের বক্তব্যের মিল রয়েছে। যারা তার অনুসরণ করবে তারা হাঁপানো কুকুর ও গর্দভ। তার আরেক পঙ্ক্তিতে বলা হয়েছে : ‘সালাত ৫ ওয়াক্ত নয় ২ ওয়াক্ত’, ‘রোজা এক মাস নয় কয়েকদিন’, ‘হজ জিলহজ মাসের ৯ তারিখে নয়’, ‘জুমার নামাজ শুক্রবারে নয়, শনিবারে’, ‘কেবলা বলতে কিছুই নেই’, ‘প্রচলিত কালিমা শিরকযুক্ত’, ‘হাদিসে মানুষ হত্যা ও বেশ্যাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা হয়েছে’, ‘জাহান্নামে যেতে চাইলে বুখারী-মুসলিমের অনুসরণ করুন’, ‘তারাবীর নামাজ শয়তানের কাজ’ ইত্যাদি। এসব বক্তব্যসম্বলিত বই এবং ফেসবুক আইডিতে এসব বক্তব্য প্রচার করায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেছেন অভিযোগকারীরা। অভিযোগকারীগণ আরো জানিয়েছেন, তাদের বই এবং প্রচারণার ধরন থেকে সচেতন লোকজন ধারণা করছেন আব্দুল মতিনের সাথে কোনো ইহুদী কানেকশন বা অন্য কোনো ধর্মবিরোধী শক্তির যোগসাজশ থাকতে পারে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য চক্রটি আব্দুল মতিনের পিছনে কাজ করছে। তারা অবিলম্বে এই আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করে ধর্মবিরোধী তার গোপন কানেকশন খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসক এই অভিযোগপত্র পাওয়ার সাথে সাথে বিষয়টি নরসিংদী জেলা পুলিশকে অবহিত করেন। জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেফতার করার জন্য মনোহরদী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। মনোহরদী থানা পুলিশ রাত ৩টায় তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। এই খবর প্রচারিত হওয়ার পর এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে। তারা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান ও পলিশ সুপার আমেনা বেগমসহ থানা পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।