Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিলেটে ৫০০ কোটি টাকায় নির্মিত রাজকীয় এক বাড়ি

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিলেট অফিস : এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান, আল হারমাইন গ্রুপের কর্ণধার মাহতাবুর রহমান নাসির। বিশিষ্ট শিল্পপতি তিনি। ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি’র মর্যাদাও পেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তিনি সিলেটে একটি বিলাসবহুল রাজকীয় বাড়ি নির্মাণ করে সবার নজর কেড়েছেন। সেই বাড়িটি অবস্থান সিলেটের ইসলামপুর এলাকায়।
২০০৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়া সেই বাড়িটির নাম রাখা হয়েছে ‘কাজী প্যালেস’। প্রায় ৮ একর জায়গাজুড়ে তিনতলা বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িটির বিল্ডিং জোন হচ্ছে প্রায় ৮০ হাজার স্কয়ার ফুট। কী নেই এই বাড়িতে! বিশ্বের ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে বাড়িতে রয়েছে ২৯টি বিলাসবহুল ‘মাস্টার বেড’। ছাদে রয়েছে হেলিপ্যাড, আছে বিশালাকারের সুইমিংপুল, স্টিম বাথ, দুটি লিফট, অত্যাধুনিক ¯œানাগার, বিশাল পার্কিং এরিয়াসহ চোখধাঁধানো অনেক কিছুই। বাড়িতে রয়েছে ৫ হাজার মানুষের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজনের সুবিধা। পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। নিচতলাতেই রয়েছে ৯টি ডাইনিং। ইতালির আভিজাত্যের ওয়ান প্লেট মার্বেলের আধিক্য পুরো বাড়িজুড়ে। সৌদি আরবের ওয়াক্্ফ মিনিস্ট্রি থেকে উপহার পাওয়া পবিত্র কাবা শরীফের দরজার রেপ্লিকা বাড়িটিতে সযতেœ রেখেছেন মাহতাবুর রহমান নাসির।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে শুরু হয় বাড়ি নামক এই প্রাসাদের কাজ। নির্মাণে সিংহভাগ উপকরণ আনা হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। জার্মানি, দুবাই, ফ্রান্স ও লেবাননের প্রকৌশলীরা ছিলে নির্মাণের তত্ত্বাবধানে। তাদের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াইশ শ্রমিক একটানা গত প্রায় ৮ বছর কাজ করেছেন বাড়িটি নির্মাণে। বাড়ির ভেতর-বাইরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন, অসাধারণ কারুকার্য, চোখধাঁধানো আভিজাত্যÑসব মিলিয়ে সত্যিকার অর্থেই বাড়িটিকে ‘বাড়ি’ মনে হয় না, মনে হয় এ যেন কোনো রাজার বিলাসী রাজপ্রাসাদ! বাড়িটির চেয়ার, টেবিল, সোফা, খাট, ঝাড়বাতি, আনুষঙ্গিক সব জিনিসপত্রই তো রাজা-বাদশাদের আমলের মতোই বিলাসবহুল, নান্দনিক। কেন এতো বিশাল, এতো আধুনিক একটি বাড়ি নির্মাণ করতে গেলেন জানতে চাইলে মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, ‘লোকদেখানোর কোনো বিষয় এর সাথে জড়িত নয়। আমাদের একান্নবর্তী পরিবার। বিশাল পরিবারের সবাইকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসতেই বাড়িটি নির্মাণ করা।’ শৌখিন এ শিল্পপতি জানালেন, পুরো বাড়ি নির্মাণে ব্যয়ের হিসেব তিনি রাখেননি। দু’হাত খুলে অপূর্ব নান্দনিকতার বাড়িটি নির্মাণ করেছেন তিনি। তবে ব্যয় প্রায় ৫শ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে যেতে পারে বলেও ধারণা দিলেন তিনি। মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, ‘লোকদেখানোর কোনো বিষয় এর সাথে জড়িত নয়। আমাদের একান্নবর্তী পরিবার। বিশাল পরিবারের সবাইকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসতেই বাড়িটি নির্মাণ করা।’ একবার চোখ পড়লে আর চোখ ফেরানো দায়। প্রথম দেখাতেই মনে হবে, ‘এ সময়ে এসে কি তবে আবার রাজা-প্রজার যুগ শুরু হলো!’ কারো মনে এরকম ভাবনা এলে তাকে দোষও যে দেয়া যাবে না!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেটে ৫০০ কোটি টাকায় নির্মিত রাজকীয় এক বাড়ি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ