Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লাখ

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে কিশোর-কিশোরীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনকে সামনে রেখে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য দেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিবছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২১ জুলাই বাংলাদেশে জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ, আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা’।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬১ মিলিয়ন (১৬ কোটি ১০ লাখ)। মোট প্রজনন হার এখনো ২ দশমিক ৩। এ হার ২ নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে সাড়ে চার কোটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী রয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার এখন কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। আমরা মনে করি, যদি তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া যায়, তাহলে দেশের জনসংখ্যা আর বাড়বে না। সরকার মেয়েদের সব ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, সমাজে শিক্ষিত মা তৈরি হলে একদিকে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমে আসবে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়বে না। কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে দেশের ১০০টি সেবাকেন্দ্রে কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বহু বছর ধরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একই জায়গায় আটকে আছে। আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার কোনো সেবা দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৩ থেকে ২-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যে চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার সেবা দেওয়া বন্ধ করা হয়নি। আগের চেয়ে এখন যোগাযোগব্যবস্থা অনেক ভালো হওয়ায় লোকজন নিজেরাই সেবাকেন্দ্রে চলে আসেন। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার ততটা প্রয়োজন হয় না। এরপরও প্রয়োজন হলে বাড়ি বাড়ি যাওয়া আরও বাড়ানো হবে।
উঠতি বয়সী সন্তানের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য মা-বাবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, বিপথগামী তরুণেরা এতে জড়িত ছিল। মা-বাবাকে সতর্ক থাকতে হবে তাদের সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেলামেশা করে।
গুলশান হামলায় জড়িত তরুণেরা বিশেষ মাদক ব্যবহার করেছিল বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেখার বিষয়। তরুণদের মাদক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লাখ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ