Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিত্র : সেতুর বেহাল দশা কাটবে কবে?

প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শুধু একটি সেতুর জন্য অন্তত ছয়টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ১০ বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ অঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এর বাইরে নয়। একটি সেতুর জন্য নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী তিনটি হাট-বাজারের অগণিতক ক্রেতা-বিক্রেতাও। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ বাড়ে সীমাহীন। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন খালের ওপরে নির্মিত সেতুটির বেহাল দশা কাটবে কবে? ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুটি। সেই রাতের ঝড়ে সেতুটি প্রায় অর্ধেক অংশই ভেঙে পড়ে। এরপর বিশাল একটি খালের ওপরে নির্মিত এই সেতুটি এলাকার অসহায় জনসাধারণ আলগা বাঁশ ও সুপারি গাছ জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করতে শুরু করে। সেই অবস্থা চলছে এখনো। অতিসত্বর সেতুটি পুনর্নির্মাণ করে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘব করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।
আহমেদ আল আমীন,
ডেবরা হাজীবাড়ি, নাচনমহল, নলছিটি, ঝালকাঠি

বায়োমেট্রিক তথ্য
মোবাইল সিম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে হাজার হাজার মোবাইল সিম নিবন্ধন করে বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টি দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগজনক। যেখানে মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ তথ্য বিভাগের সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকার পরও যে কেউ কিনেই এসব নম্বর ব্যবহার করতে পারেন, সেখানে জননিরাপত্তা কতটা ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে? হয়তো যার পরিচয় ও আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে, তার এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই। হয়তো তার জানারও সুযোগ নেই। এ অবস্থায় যদি সমন্বিত সফল উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তবে যতসব হয়রানি আর বিপত্তির সম্মুখীন হবে জনসাধারণ। তাই এ বিষয়ে সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ একান্ত জরুরি।
এম সবুজ মাহমুদ
গ্রাম ও ডাকঘর-তারতাপাড়া, মাদারগঞ্জ, জামালপুর-২০৪১।

বগুড়া বেতার কেন্দ্র
১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলার কাহালুতে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে দরগাঁহাট এলাকায় ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১০০ কিলোহার্জ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেতার কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো উচ্চশক্তির প্রেরণাকেন্দ্রটি ২৮ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র হিসেবে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বগুড়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নাট্যকর্মীরা এটিকে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র হিসেবে চালুর দাবি জানিয়ে আসছেন। পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র চালুর জন্য যান্ত্রিক সব ধরনের সুবিধা আছে। এখন সরকার সিদ্ধান্ত দিলে ও আলাদা সম্প্রচার ভবন করলেই এটি চালু করা যাবে। বগুড়া আঞ্চলিক প্রেরণকেন্দ্রটিকে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র করার দাবি শুধু বগুড়ার নয়; এই অঞ্চলের মানুষের। কেন্দ্রটি চালু হলে এই এলাকা থেকে অনেক শিল্পী বেরিয়ে আসবেন। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের খবর ও জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাধারণ মানুষ জানতে পারবে।
এম সবুজ মাহমুদ
গ্রাম ও ডাকঘর-তারতাপাড়া, মাদারগঞ্জ, জামালপুর-২০৪১।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিত্র : সেতুর বেহাল দশা কাটবে কবে?
আরও পড়ুন