পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719922537](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শারীরিক অসুস্থতা এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কারামুক্তির পর থেকেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারামুক্ত হয়ে করোনার সংক্রমণরোধে চলমান সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে এক মাসেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে পারেননি। আগামী ঈদুল ফিতরের আগে দলের কোনো নেতাকর্মীর সাথে দেখাও করবেন না বিএনপি প্রধান। ফলে কারামুক্ত হয়ে এখন অনেকটা ঘর বন্দি হয়ে থাকছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ও দায়িত্বশীল নেতারা জানান, মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বেগম খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। গত ৯ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ হলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তিনি এখনো কোয়ারেন্টিনেই থাকবেন। কোয়ারেন্টিনে থেকে নামাজ আদায়, রোজা রেখে, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত এবং বই পড়েই সময় কাটাবেন তিনি।
দীর্ঘ ২৫ মাসের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর গত ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছে। জামিনে মুক্ত হয়েই তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতে গিয়ে উঠেন। এখন সেখানেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কারামুক্ত হওয়ার এক মাস অতিক্রম হলেও এখনো বিএনপি চেয়ারপারসন দলের কোন নেতাকর্মীর সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেননি। ঈদুল ফিতরের আগে কারো সাথে দেখা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। মুক্ত হওয়ার পর পছন্দের চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করানোর ইচ্ছা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতির কারণে এখনো ভীষণ অসুস্থ বেগম জিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা শুরু করতে পারেননি। ফলে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) প্রেস্ক্রিপশনেই চলছে চিকিৎসা। লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সব কিছু তত্ত্বাবধান করছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কারামুক্ত হলেও এখনো তিনি ভীষণ অসুস্থ রয়েছেন। তবে মানসিকভাবে বেশ শক্ত। দেশের মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখছেন নিয়মিত। কোন পরামর্শ থাকলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে জানাচ্ছেন। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন বিশেষ করে ছেলেদের দুই বউ ও নাতনিদের সাথে ফোনে কথা বলছেন। নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, তাসবীহ-তাহলিল পাঠ ও বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতিমা ও বোন সেলিমা ইসলাম সকালে ও সন্ধ্যায় এসে দেখা করে যাচ্ছেন। আর সার্বক্ষণিক সাথে থাকছেন গৃহকর্মী ফাতেমা ও নার্স।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ম্যাডাম এখন কোয়ারেন্টিনেই আছেন। যেহেতু গোটা জাতি শাটডাউনে আছে, চলাচল এবং সব কিছুই বন্ধ। ম্যাডাম উনার ব্যক্তিগত চিকিতসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসাধীন আছেন এবং এভাবে কোয়ারেন্টানে থেকে তিনি রমজানের রোজা পালন করবেন। রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতাটা আগের মতোই আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হচ্ছে। হাত-পায়ের ব্যথা আগের মতোই আছে। আজকে হয়ত একটু ভালো থাকে আবার কালকে প্রচন্ড ব্যথা থাকে। ব্যথা উপশমের জন্য থ্যারাপি দেয়া হচ্ছে। উনার ডায়াবেটিস বেশ অনিয়ন্ত্রিত। ম্যাডাম বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংক্রামণ পরিস্থিতি ও পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’- বলে জানান তিনি।
গুলশানের ফিরোজা’র গেইটে পাহারারত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডামের বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। শুধুমাত্র চিকিৎসকের টিমের সদস্যবৃন্দ ও কয়েকজন নিকট আত্মীয় স্বজন বাসায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।