Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মসজিদে তারাবিতে ১২ জনের বেশি মুসল্লি নয়

রমজানে ইফতার মাহফিল নয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মসজিদে তারাবির নামাজ চালু থাকবে, তবে তাতে জনসাধারণ অংশ নিতে পারবেন না। দু’জন হাফেজ ছাড়া মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জন অংশ নিতে পারবেন। এর বেশি মুসল্লির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল বিকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি সবাইকে ঘরে তারাবি পড়ার আহŸান জানিয়েছেন। এর আগে শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশের মসজিদগুলো পুনরায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার আহŸান জানানো হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনো মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। যতদিন ঝুঁকিমুক্ত না হবে ততদিন মসজিদে বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে। তারাবির ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সীমিত আকারে দেশের মসজিদগুলোতে তারাবি চালু থাকবে। প্রত্যেক মুসল্লি ঘর থেকে অজু করে আসবেন। অসুস্থ বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করবেন। তারাবিতে সর্বোচ্চ ১২ জন মুসল্লি উপস্থিত থাকতে পারবেন।

এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসল্লি ও দু’জন হাফেজসহ মোট ১২ জনের অংশগ্রহণে রমজান মাসে মসজিদসমূহে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকবে। এর সঙ্গে ইতোপূর্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত মসজিদে জুমা ও জামাত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। এছাড়া রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নামে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিস্তারিত নির্দেশনাসহ শুক্রবার একটি সার্কুলার জারি করবে বলেও জানানো হয়।

দেশে করোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের মসজিদগুলোকে মুসল্লি সংখ্যা সীমিত করা হয়। মসজিদে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সমন্বয়ে পাঁচ ওয়াক্তের জামাতে সর্বোচ্চ পাঁচজন করে এবং জুমার জামাতে ১০ জন করে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে সাত জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০ জনে। আর একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৪১৪ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ১৮৬ জন।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বাড়ানো হয়েছে সাধারণ ছুটির মেয়াদ। বৃহস্পতিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

 

 



 

Show all comments
  • Jahed Hassan ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০০ এএম says : 2
    বাজারে দোকানে বাংকে রাস্তায় সমস্যা হয়না শুধুইকি মসজিদেই যত সমস্যা ?
    Total Reply(0) Reply
  • Mollah Kapasia ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
    মসজিদ আর বাজারের মধ্যে পার্থক্য কি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সব জায়গায় লোক সমাগম হচ্ছে, সমস্যা হচ্ছে জানাজায় ও মসজিদে ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সাম্প্রদায়িক করোনাকে ঘৃনা করি,,
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiq Islam ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০১ এএম says : 1
    মসজিদে আযান দেয় আবার মাইকে বলে দেওয়া হয় নামাজ বাড়িতে পরাই ভালো। মসজিদে 5 জনের বেশি মানুষ আসা যাবে না। যতো নিয়ম নামাজীদের জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Islam ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
    বাকিরা কি ভাবে তারাবি আদায় করবে? আলেমদের সাথে পরামর্শ করে দূতো যানানো হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdus Shohid ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০১ এএম says : 1
    আফসোস এ জাতির ভাগ্যে কঠিন থেকে কঠিন পরিস্তিতি অপেক্ষা করছে।সমস্ত বিশ্ব আকাশের মালিকের কাছে সাহায্য চাচ্ছে।আর আমাদের নীতি নির্ধারকরা মালিকের দরজা থেকে দুরে রাখছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Al Ekram ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    অনেকে অনেক ধরনের মন্তব্য করেছে সেই সাথে আমিও সহমত কিন্তু আরেকটা জিনিস আমি বলতে চাই, আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রতিটা মসজিদের ভিতরের স্পেস অনেক বড় তাই তারাবির নামাজের জন্য দূরত্ব বজায় রেখে মিনিমাম 50 জন নামাজ পড়তে পারবে তারাবির নামাজের জন্য সরকার যদি এরকম করা করি না করে অন্তত আরেকটু মুসল্লী বাড়ানো যায় তাহলে ভালো হয় কারণ এটা কোরআন খতমের তারাবি। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যেন সবাইকে মহামারী থেকে হেফাজত করে।
    Total Reply(1) Reply
    • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ৮:২৭ পিএম says : 0
      ভাই একরাম,আমরা যে গরুর পাল সেটা ভুলে গেছেন??একটু সংখ্যা বাড়ালেই দেখবেন সেদিন যেমন জানাজায় লোকে লোকারণ্য হয়েছিল তেমনটাই হবে মসজিদে। কাজেই যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটাই উত্তম সিদ্ধান্ত আমাদের জন্যে।আল্লাহ্‌ আমাদেরকে দেশের আইন মেনে চলার মনমানসিকতা দান করুন। আমিন
  • Alamin Khan ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০২ এএম says : 1
    করোনা ভাইরাস এত পাক-পবিত্র ভাইরাস যে, ওহা শুধু মসজিদ এবং জানাযায় সংক্রামন হয় আর কোথাও সংক্রামন হয় না। হাট-বাজার রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ সেটা তো প্রবলেম নাই যত চুলকানি শুধু মসজিদ এবং ধর্মীয় ব্যাপারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Habib Morshed ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 1
    ১২ জনের বেশি নয় কেন? মুসুল্লিরা কে এতই অসচেতন? অথচ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক করনা ঝুঁকি মুক্ত? তার মানে কি এই দাঁড়াচ্ছে না মুসলিমরা মসজিদে নামাজের মাধ্যমে করনা ছড়াচ্ছে?
    Total Reply(0) Reply
  • Shahadat Hossian ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৩ এএম says : 1
    যেমন করে মসজিদে মানুষ নিধারন করেছেন তেমন হাট বাজার, ব্যাংক, সব জায়গায় করতে হবে, অন্যথাই এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • MMTazul Islam ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৫ এএম says : 0
    এখন মনগড়া মন্তব‍্য করার সময় না।মহামারীতে করআন সুন্নাহ ভিত্তিক বিশ্বের বড় বড় আলেমদের পরামর্শ বা মেনে নেওয়া সকলের কর্তব‍্য।আল্লাহ তায়ালা সকলকে কুরআন সুন্নাহর সঠিক ভূমিকা দান করে সে অনুযায়ি কাজ করার তৌফিক দান করূন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ৯:১৫ এএম says : 0
    কি দুর্ভাগা আমার দেশ... আমরা লেখাপড়া করি কিন্তু ধর্মের বই (ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাংলায় অনুবাদ করা) নিয়ে একবারও বসিনা যে জন্যে তথাকথিত মাওলানারা আমাদের সমাজকে দ্বিধা বিভক্ত করার সুযোগ নেয়। রমজান মাসে মসজিদ খোলা নিয়ে সরকার জনগণের কল্যাণে সঠিক সিদ্ধন্তই নিয়েছে এটা প্রশংসার দাবীদার। এখন সিদ্ধন্ত দিয়ে সরকারকে বসে থাকলে চলবেনা এই নির্দেশ কার্যকরী হচ্ছে কিনা সেদিকেও কঠিন ভাবে নজরদারী করতে হবে। সেদিন ভারতের দিল্লীতে তবলীগ জামাতের লোকেরা মহামারী চলাকালে গৃহে অবস্থান না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মূর্খের মত করে ভারত সরকারে সমাবেশ না করার নির্দেশ অমান্য করে দিল্লীতে তবলীগের মারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে করে জামাতের লোকজন করোনাভাইরাসে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছে এবং এটা সংক্রামিত করেছে। এই সুযোগ নিয়ে ভারতের হিন্দুরা এখন মুসলমানদেরকে দোষারুপ করছে এবং নিঘৃত করছে। এরজন্যে এসব কম ধর্মীয় শিক্ষার মুসলমানরাই দায়ী বলে অভিজ্ঞজনেরা মনে করছেন। যেসব তথাকথিত আলেমরা রমজান মাসে মসজিদ খোলা রাখার কথা সরকারকে বলেছিলেন তাদেরকে মানষিক চিকিৎসার আওতায় নেয়া প্রয়োজন বলে অনেকেই মনে করছেন। অনেকেই আবার মনে করছেন, দেশের অপশক্তিরা বসে নেই তারাই তথাকথিত আলেমদেরকে এসব ইন্দন জোগাচ্ছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে। তাই সরকারের উচিৎ এনারা কারা এবং কোথা থেকে এনারা বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশর আলেমরা যখন মসজিদের জমায়েতে বাধ্যবাদকতার সৃষ্টি করেছে তখন বাংলাদেশে কেন মসজিদ খুলে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে এর উৎস বের করা......... আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে আমাদের কৃত কর্মের মধ্যে কোনটা ভাল কোনটা মন্দ এটা জানার ও বুঝার ক্ষমতা দিন সাথে সাথে সেইভাবে চলার যোগ্যতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ৯:২৯ এএম says : 0
    আল্লাহ্‌কে পেতে শুধু মসজিদেই যেতে হবে এটা কোন বাধ্যবাধকতা নয়। তারাবীর জামাত ফরজ নামাজ নয় কাজেই এই নামাজ নিয়ে যারা গোয়ারতামী করেন তাদের সম্পর্কে আমার কোন মন্তব্য নেই। আমি শুধু এতটুকুই বলতে চাই আমি কোরআন কিংবা অন্য কোন ধর্মীয় গ্রন্থে পাইনি যে আমার ওজর থাকার পরও আমি বাধ্য মসজিদে যেতে। এখন দেশের অপশক্তিরা আমাদের দেশের কম ধর্মজানা (আবেদ) লোকদেরকে ব্যাবহার করে ধর্মীয় বিষয় (মসজিদ) এনে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যে বিভিন্ন অজুহাত সামনে এনে সাধারন মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এখন সরকারের উচিৎ হবে এসব ধর্মীয় কথা বলা লোকজনদের উপর নজরদারই (পুলিশি) করা তাহলেই থলের বিড়াল বের হয়ে পরবে। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে এই মহা বিপদের কালে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া ফেসাদের সৃষ্টি না করান। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রমজান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ