পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপকহারে। যার প্রভাব পড়েছে মার্সেল পণ্যের বিক্রিতে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি পণ্য বিক্রি করেছে মার্সেল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পণ্য বিক্রি হয়েছে। তবে বাম্পার সেল হচ্ছে এলইডি টিভি এবং ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম এ্যাপ্লায়েন্সের। এ দুটি পণ্যের বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৩০০ ও ৩১৭ শতাংশ। এছাড়া ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ার পর মার্সেল রেফ্রিজারেটরের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত।
জানা গেছে, দেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে ২০১৬ চ্যালেঞ্জিং বছর হিসেবে নিয়েছে মার্সেল। সেই লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতেই নিজস্ব কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় অবস্থিত ওই কারখানায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ সংযোজনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, বেøন্ডার, ইন্ডাকশন কুকার, রিচার্জেবল ব্যাটারী, এলইডি লাইট, সুইচ-সকেটসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম এ্যাপ্লায়েন্সেস। প্রতিনিয়ত প্রোডাকশন লাইনে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য। বাজারে ছাড়া হচ্ছে অসংখ্য মডেলের আকর্ষণীয় কালারের পণ্য। বাড়ানো হয়েছে সেলস পয়েন্ট। ফলে, স্থানীয় বাজারের উল্লেখযোগ্য অংশ নিজেদের দখলে নিতে অনেকটাই সফল হয়েছে মার্সেল।
কর্তৃপক্ষ জানায়, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে উৎপাদন করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেট্রিক্যাল প্রোডাক্ট। আমদানিকৃত পণ্যের তুলনায় দেশে তৈরি মার্সেল পণ্যের মান অনেক উন্নত এবং দামেও সাশ্রয়ী। স্বল্প আয়ের ক্রেতারা সর্বোচ্চ ৩ বছরের সহজ কিস্তিতে কিনতে পারছেন মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য। মূলত, এসকল কারনেই মার্সেল পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ছে।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) গতবারের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মার্সেল পণ্য বিক্রি হয়েছে। প্রথমার্ধে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবছর মার্সেলের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ শতাংশ। সামনে কোরবানি ঈদ। এ সময় বিক্রি আরো বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছরের শুরু থেকেই মার্সেল ব্র্যান্ডের সকল পণ্যের বিক্রি বেড়েছ আশাতীত। বিশেষ করে, ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম এ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা বেড়েছে ব্যাপক। গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছ প্রায় ৪৫ শতাংশ।
বর্তমানে মার্সেলের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ২৫টি পণ্যের প্রায় দেড়শত আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেল। এরমধ্যে রয়েছে ৩৩টি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ২০ মডেলের এলইডি এবং ১২টি মডেলের কালার লাইন টেলিভিশন, ৭ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ৫টি মডেলের মোটরসাইকেল, ৭ মডেলের জেনারেটর, ৮টি করে মডেলের এলইডি বাল্ব, ইলেকট্রিক স্যুইচ, রাইস কুকার এবং বেøন্ডার, ৬ মডেলের আয়রণ (ইস্ত্রি), ৪টি করে মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি এবং সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, ৩ ধরনের রিচার্জেবল ফ্যান, ২ রকমের রিচার্জেবল ল্যাম্প, ইন্ডাকশন কুকার, ওভেন, রুম হিটার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ও গ্যাস স্টোভ এবং ১টি করে মডেল রয়েছে ওয়াটার পিউরিফায়ার, ফ্যান রেগুলেটর, হোল্ডার, এয়ার কুলার, ভোল্টেজ প্রটেকটর ইত্যাদি।
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, ২০১৬ সালে দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল বছরের শুরুতেই। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন পণ্য। কারখানায় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের দামও কমানো হয়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি করা হয়েছে সেলস ও সার্ভিস পয়েন্টের সংখ্যা। পণ্যমান উন্নয়নে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে পণ্য বিক্রিতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে মার্সেল। চলতি বছরে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পণ্য বিক্রি হবে। মার্সেলের রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা। সারা দেশে বিস্তৃত তাদের সার্ভিস সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন প্রায় আড়াই হাজার প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।