পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় ঐক্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা জাতিকে হতাশ করেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। গতকাল সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে রোববার প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। আবারো দলমত-নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় ঐক্য ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়ে গেছে’ এবং ‘যাদের সাথে ঐক্য প্রয়োজন, তাদের সাথে ইতিমধ্যে ঐক্য হয়ে গেছে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জাতিকে হতাশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর সমর্থনধন্য বিএনপিকে বাদ দিয়ে কীভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব? কী করে সম্ভব অন্যান্য দেশপ্রেমিক দলকে বাইরে রেখে জাতীয় ঐক্য গড়া? তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঐক্যের কথা বলেছেন, তা সরকারে আসীন দলগুলোর, এমনকি মহাজোটেরও ঐক্য নয়। আর বিএনপিসহ অপরাপর রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে শুধু ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় ঐক্যপ্রক্রিয়াকে কীভাবে তিনি জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন?
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, নির্লিপ্ততা, দায়িত্বহীনতা ও ভ্রান্ত নীতির কারণে সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিএনপি শুরু থেকেই সরকারকে এ বিষয়ে সতর্ক ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানালেও সরকার তাতে কর্ণপাত না করে কোনো ঘটনা ঘটলেই তার দায় বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে। তিনি বলেন, অহেতুক বিরোধী দলের হাজার হাজার নিরপরাধ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে প্রকৃত অপরাধীদের অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে। তাদেও সেই ভ্রান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই আজ সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ বিস্তৃত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।