Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধ হয়নি বেতন নেয়া

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনসমাগমরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ১৮ মার্চ থেকে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও নানাভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায় করছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান। ইংলিশ মিডিয়াম কয়েকটি স্কুলে অভিভাবদের বেতন পরিশোধের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে বাধ্য করা হয়। নেয়া হচ্ছে অগ্রিম দুই-তিন মাসের বেতনও। কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খোলা রাখারও অভিযোগ রয়েছে। 

অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল খোলা রেখে গত সোমবার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নিয়েছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে বাধ্য হয়। আর অভিভাবকদের আসতে বলা হয় দুই মাসের বেতন দেয়ার জন্য। অভিভাবকদের অভিযোগ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। তারাও বাধ্য হয়ে তা পরিশোধ করছেন। ইংলিশ মিডিয়াম অভিভাবক সমিতির আমিনা রত্না বলেন, একদিকে তো করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভীতি অন্যদিকে লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই স্কুল থেকে মে-জুন মাসের অগ্রিম বেতন চাইছে। এটা অনেকের জন্য কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মালিক সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকরা যদি বেতন আটকে দেয় তাহলে স্কুলের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না। এজন্য এর মধ্যেও বেতন আদায় করতে হচ্ছে। আন্ত:শিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর জিয়াউল হক বলেন, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি খোলা রাখে বা অগ্রিম বেতন আদায় করে তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হবে। তারপরও না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

রাজধানীর আরেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্বশরীরে বেতন দেয়ার বিষয়টি শিথিল করলেও নিয়মিত পরিশোধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অভিভাকদের বিকাশের মাধ্যমে বেতন পরিশোধ করার জন্য মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই মহামারীর মধ্যে যেমন করেই হোক বেতন আদায় করা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক। প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল হামিদা আলী বলছেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন না নিয়ে তাদের কোনো উপায় নেই। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষকই এমপিও এমনকি সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা পান না। ঢাকার উত্তরা, বনানী, মিরপুর, মালিবাগ ও বারিধারায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শাখাগুলোতে সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তিন শতাধিক শিক্ষক।

বারিধারা শাখায় অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, এই মহামারীর মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি বেতন নেওয়া বন্ধ করেনি। প্রতি মাসে বেতন নিতে বিকাশের মাধ্যমে বেতন পরিশোধের সিস্টেম চালু করে তা জানিয়ে এসএমএস করেছে, এটা ‘মেনে নেওয়ার মতো না’। আরেকজন অভিভাবক বলেন, বেতন পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন না দিলে জরিমানা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বেতন না নিলে শিক্ষকদের বেতন দিতে পারবে না। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকেরও সন্তানদের টিউশন ফি চালিয়ে যাওয়া কষ্ট হচ্ছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কী করা যায়, আমরা বসে সে বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেব।

 

K‡ivbvq wkÿvcÖwZôvb

eÜ nqwb †eZb †bqv

÷vd wi‡cvU©vi : K‡ivbvfvBiv‡mi msµgY †VKv‡Z MZ 26 gvP© †_‡K mviv‡`‡k mvaviY miKvwi QzwU †NvlYv K‡i‡Q miKvi| RbmgvMg‡iv‡a wkÿvcÖwZôvb eÜ i‡q‡Q 18 gvP© †_‡K| Z‡e wkÿvcÖwZôvb eÜ _vK‡jI bvbvfv‡eB wkÿv_©x‡`i KvQ †_‡K †eZb Av`vq Ki‡Q wKQz wKQz cÖwZôvb| Bswjk wgwWqvg K‡qKwU ¯‹z‡j Awffve‡`i †eZb cwi‡kv‡ai Rb¨ wkÿvcÖwZôv‡b Avm‡Z eva¨ Kiv nq| †bqv n‡”Q AwMÖg `yB-wZb gv‡mi †eZbI| K‡qKwU Bswjk wgwWqvg ¯‹zj we`¨gvb cwiw¯’wZ‡Z †Lvjv ivLviI Awf‡hvM i‡q‡Q|

A·‡dvW© B›Uvib¨vkbvj ¯‹zj †Lvjv †i‡L MZ †mvgevi wkÿv_©x‡`i KvQ †_‡K A¨vmvBb‡g›U Rgv wb‡q‡Q| GRb¨ wkÿv_©xiv ¯‹z‡j Avm‡Z eva¨ nq| Avi AwffveK‡`i Avm‡Z ejv nq `yB gv‡mi †eZb †`qvi Rb¨| AwffveK‡`i Awf‡hvM A‡bK wkÿv cÖwZôvbB AwMÖg †eZb †`qvi Rb¨ wkÿvcÖwZôvb †_‡K Pvc †`qv n‡”Q| ZvivI eva¨ n‡q Zv cwi‡kva Ki‡Qb| Bswjk wgwWqvg AwffveK mwgwZi Avwgbv iZœv e‡jb, GKw`‡K †Zv K‡ivbvfvBiv‡mi msµg‡Yi fxwZ Ab¨w`‡K jKWvDb Pj‡Q| Gi g‡a¨B ¯‹zj †_‡K †g-Ryb gv‡mi AwMÖg †eZb PvB‡Q| GUv A‡b‡Ki Rb¨ KóKi I SuywKc~Y© n‡q hv‡”Q| Bswjk wgwWqvg ¯‹zj gvwjK mwgwZi mfvcwZ wbRvg DwÏb e‡jb, wkÿv_©x ev Zv‡`i AwffveKiv hw` †eZb AvU‡K †`q Zvn‡j ¯‹z‡ji wkÿK-Kg©KZ©v-Kg©Pvix‡`i †eZb †`qv m¤¢e n‡e bv| GRb¨ Gi g‡a¨I †eZb Av`vq Ki‡Z n‡”Q| AvšÍ:wkÿv‡ev‡W©i mgš^qK cÖ‡dmi wRqvDj nK e‡jb, †Kvb wkÿvcÖwZôvb hw` †Lvjv iv‡L ev AwMÖg †eZb Av`vq K‡i Zvn‡j IB wkÿvcÖwZôvb‡K mZK© Kiv n‡e| ZviciI bv gvb‡j e¨e¯’v †bqv n‡e|

ivRavbxi Av‡iK wkÿvcÖwZôvb mvD_ c‡q›U ¯‹zj A¨vÛ K‡jR ¯^kix‡i †eZb †`qvi welqwU wkw_j Ki‡jI wbqwgZ cwi‡kva Ki‡Z eva¨ Kiv n‡”Q| AwffvK‡`i weKv‡ki gva¨‡g †eZb cwi‡kva Kivi Rb¨ †gvevBj †dv‡b g¨v‡mR w`‡q Rvwb‡q †`qv n‡”Q| GB gnvgvixi g‡a¨ †hgb K‡iB †nvK †eZb Av`vq Kiv wb‡q †¶vf Rvwb‡q‡Qb K‡qKRb AwffveK| cÖwZôvbwUi wcÖwÝcvj nvwg`v Avjx ej‡Qb, wk¶v_©x‡`i KvQ †_‡K †eZb bv wb‡q Zv‡`i †Kv‡bv Dcvq †bB| KviY Zv‡`i cÖwZôv‡bi †Kv‡bv wk¶KB GgwcI GgbwK miKv‡ii KvQ †_‡K †Kv‡bv Avw_©K myweav cvb bv| XvKvi DËiv, ebvbx, wgicyi, gvwjevM I evwiavivq mvD_ c‡q›U ¯‹yj A¨vÛ K‡j‡Ri kvLv¸‡jv‡Z mv‡o 12 nvRvi wk¶v_©x †jLvcov Ki‡Q| Gme cÖwZôv‡b Kg©iZ Av‡Qb wZb kZvwaK wk¶K|

evwiaviv kvLvq Aa¨qbiZ GKRb wk¶v_©xi AwffveK e‡jb, GB gnvgvixi g‡a¨I cÖwZôvbwU †eZb †bIqv eÜ K‡iwb| cÖwZ gv‡m †eZb wb‡Z weKv‡ki gva¨‡g †eZb cwi‡kv‡ai wm‡÷g Pvjy K‡i Zv Rvwb‡q GmGgGm K‡i‡Q, GUv Ô‡g‡b †bIqvi g‡Zv bvÕ| Av‡iKRb AwffveK e‡jb, †eZb cwi‡kva Kivi Rb¨ ejv n‡q‡Q 30 GwcÖ‡ji g‡a¨ †eZb bv w`‡j Rwigvbv w`‡Z n‡e e‡jI Rvwb‡q †`qv n‡q‡Q|

gva¨wgK I D”P wk¶v Awa`߇ii gnvcwiPvjK cÖ‡dmi ˆmq` †gv. †Mvjvg dviæK e‡jb, bb-GgwcI wk¶v cÖwZôvb¸‡jv †eZb bv wb‡j wk¶K‡`i †eZb w`‡Z cvi‡e bv| Ab¨w`‡K GB cwiw¯’wZ‡Z A‡bK Awffve‡KiI mšÍvb‡`i wUDkb wd Pvwj‡q hvIqv Kó n‡”Q| mvwe©K welq we‡ePbvq wb‡q Kx Kiv hvq, Avgiv e‡m †m wel‡q GKUv wm×všÍ wb‡q mevB‡K Rvwb‡q †`e|

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেতন-নেয়া

২২ এপ্রিল, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ