Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

জামালপুরের আশরাফ হোসেনসহ তিনজনকে মৃত্যুদন্ড

প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে
পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড
স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামালপুরের মো: আশরাফ হোসেনসহ তিনজনকে মৃত্যুদ- এবং পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেনÑ বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো: সোহরাওয়ার্দী। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত অন্য দুইজন হলেনÑ মো: আবদুল মান্নান, মো: আবদুল বারী। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে তাদের মৃত্যুদ- কার্যকর করতে পারবে সরকার। এছাড়া আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑ অ্যাডভোকেট মো: শামসুল হক ওরফে বদর ভাই, এস এম ইউসুফ আলী, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো: আবুল হাশেম ও মো: হারুন।
প্রসিকিউশন এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষ বলছে রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মো: শামসুল হক ও ইউসুফ আলীর আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। এই দুই আসামিকে রায়ের সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হয়। অন্য আসামিরা পলাতক।
প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল এ মামলা পরিচালনা করেন। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম ও সৈয়দ মিজানুর রহমান, পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২৫তম মামলার রায়। এ মামলার আসামিরা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন।
প্রথম অভিযোগ থেকে আসামি শামসুল হক ও ইউসুফ আলী খালাস পেয়েছেন। এই অভিযোগে অন্যরা আসামি ছিলেন না। দ্বিতীয় অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই এবং ২২ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার মইষ ভাদুরিয়া ও ধূপদহ গ্রামে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এই অভিযোগে আসামি শরীফ ও হারুনকে আমৃত্যু কারাদ- এবং আশরাফ, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারীকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। তৃতীয় অভিযোগ, ১৯৭১ সালের ১০ জুলাই রাত ৩টার দিকে জামালপুরের সিঅ্যান্ডবি রোডের (পুরাতন) দয়াময়ী লেনের মল্লিক ভিলা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ নুরুল আমীনকে অপহরণের পর হত্যা। এই অভিযোগে হারুন ছাড়া সবাই আসামি। প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ, জামালপুরের আশেক মাহমুদ ডিগ্রি কলেজকে নির্যাতন কেন্দ্র বানিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে বহু মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যা। এই অভিযোগে শরীফ, আশরাফ, আবদুল মান্নান ও আবদুল বারীকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। পঞ্চম অভিযোগে সবাই আসামি হলেও এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২৯ জুন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। গত বছরের ২৬ অক্টোবর বিচার শুরু হয়। এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, লুট ও গুমসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জামালপুরের আশরাফ হোসেনসহ তিনজনকে মৃত্যুদন্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ