পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা খুব কম বলে সংসদে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ২০ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ওপরে কোনো ভূমিকম্প হয়নি। তবে এ বছর দেশে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে বন্যা মোকাবিলায় সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান। এর আগে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
নারী আসন-৪২-এর সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, আমার জানামতে বাংলাদেশের ভূমিকম্পে যে অবস্থা তাতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বিগত ২০ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের শহরসহ এই অঞ্চলের ভেতরে সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ওপরে কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন ৯ অথবা ১০ মাত্রার ভূমিকম্প হবে। যদি তা হয় তাহলে পৃথিবী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে এটুকু বলতে চাই, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিকম্প হওয়ার যে অবস্থা তাতে এটুকু বলতে চাই, তা মোকাবিলা করার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি। আমরা আশাবাদী যে কোনো দুর্যোগ অত্যন্ত সার্থকভাবে মোকাবিলা করতে পারব।
এদিকে বেগম জেবুন্নেছা আফরোজের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, এ বছর বন্যা হওয়ার আগাম পূর্বাভাস লক্ষ করা গেছে।
আমাদের কাছে এ ধরনের খবর রয়েছে। সে অনুযায়ী আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গম, চাল, টিন মজুদ রেখেছি। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরে বজ্রপাতে ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রী জানান, বজ্রপাতকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বজ্রপাত হতে রক্ষা পেতে করণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারপত্র বিলিসহ সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা ২০১২-১৩ মোতাবেক প্রতিবছর বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জেলা প্রশাসন ত্রাণ সহায়তা দিয়ে থাকে। এছাড়া আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য নিম্ন ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।