পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার অফিস : শ্রাবণের অব্যাহত টানা বৃষ্টিতে পানিবদ্ধ হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের পাঁচতারাকা হোটেল ‘ওশান প্যারাডাইজ’সহ আশপাশের মসজিদ-মাদরাসা ও কয়েকটি স্থাপনা। ওখানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনচলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাপন। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় পৌরসভা ও হোটেল ওশান প্যারাডাইজ কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং পানি নিষ্কাশনে সরকারি দলের জনৈক নেতার অসহযোগিতার কারণে এই পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের সাথে পাঁচতারাকা হোটেল ওশান প্যারাডাইজের ফ্রন্ট সাইডে পানি না থাকলেও অপর তিন সাইডে হোটেলটি ৪-৫ ফুট পানিবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ওই হোটেলের পেছনে একটি মসজিদ, একটি এতিম খানা ও হেফজ খানা পানিতে ভাসছে। সাবমেরিন ক্যাবলে ল্যান্ডিং ষ্টেশনের বিপরীতে উত্তর দিকের জামে মসজিদটি পানিবদ্ধ হয়ে পড়ায় গত কয়েকদিন ধরে নামাজ পড়া যাচ্ছে না। এছাড়াও পানিতে ডুবে রয়েছে আশপাশের ৮-১০টি স্থাপনা। সেখানকার সংযোগ সড়ক গুলো পানিতে ডুবে থাকায় জনচলাচলে দেখাদিয়েছে মারাত্মক বিঘœতা।
পর্যটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ কলাতলীর এই অংশের অস্বাভাবিক পানিবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানাগেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানাগেছে গেছে, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় পৌরসভা ও হোটেল ওশান প্যারাডাইজ কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি এবং পানি নিষ্কাশনে সরকার দলের জনৈক নেতার অসহযোগিতার কথা। আরো জানাগেছে, হোটেল মোটেল জোনে পৌরসভার নিয়ন্ত্রণহীনতা ও প্লট মালিকদের যাচ্ছে তাই কর্মকা-।
দেখা গেছে, কলাতলীর বড়ছরা থেকে শুরু করে বিমান বন্দরের পাশ দিয়ে সাগরে প্রবাহিত ছরার উপরে পৌরসভা কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে দেড়-দুই কিমি যে ড্রেনটি করেছে, এতে হয়েছে পুকুর চুরির মত ঘটনা। পর্যটন জোনের পানি নিষ্কাশনের প্রধান এই নালাটি জেলা প্রশাসনের খাতায় এটি ১৬ ফুট ছরা বলে উল্লেখ থাকলেও পৌরসভার তৎকালীন মেয়র এবং ঠিকাদার মিলে ওটি সঙ্কুচিত করে করা হয়েছে ৮-১০ ফুটের একটি ড্রেন। এতে করে বিস্তীর্ণ হোটেল মোটেল জোনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, অনেক বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না।
অনুসন্ধানে আরো দেখো গেছে, হোটেল ওশান প্যারাডাইজ কর্তৃপক্ষ ওই ড্রেইন দিয়ে আশপাশের প্লটের পানি বন্ধ করে রেখেছেন। তাদের সীমানা দিয়ে আশপাশের প্লটের পানি মূল ড্রেইন দিয়ে যেতে না পারে মত পানির গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। এজন্য নাকি পৌরসভার তৎকালীন প্রকৌশলী এবং ড্রেনের ঠিকাদারকে মোটা অঙ্কের উৎকোচও দিয়েছেন ওশান প্যারাডাইজ কর্তৃপক্ষ। এতে করে বৃষ্টি হলেই সেখানে দেখাদেয় পানিবদ্ধতা। এলাকার অনেকেই এমন অভিযোগ করলেও এবিষয়ে জানতে চাইলে হোটেলের একজন কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন ঘটনার কথা তিনি তেমন কিছু জানেন না। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ করে রাখার বিষয়টি ঠিক নয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
জানাগেছে জনৈক সরকার দলীয় নেতার প্লট দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে পানি নিষ্কাশন পথ।
অনুসন্ধানে আরো দেখাগেছে, কক্সবাজারের পর্যটন জোন খ্যাত কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনে পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থায় কোন ধরনের নিয়মনীতি মানা হয়নি। এ ব্যাপারে কয়েকজন হোটেল মালিক বলেন, পৌরসভা এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব নিলেও হোটেল মোটেল জোনের সংযোগ সড়ক, বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশনে তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। তাদের মতে এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন একটি বিশাল ময়লার ডিপোতে পরিণত হবে।
ওশান প্যারাডাইজে অবস্থান করা কয়েকজন পর্যটক জানান, ওই হোটেলের সংযোগ সড়কটি পানিতে ডুবে থাকায় অনেক দূরের রাস্তা দিয়ে তাদেরকে সৈকতে যেতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।