পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দরবন রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলা হয়, সরকার দেশবাসীর মতামত ও স্বার্থ উপেক্ষা করে বেআইনিভাবে এই চুক্তি সম্পাদন করেছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য করা হবে। সমাবেশ থেকে আগামী ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ, সারাদেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং ১৯-২৬ জুলাই ঢাকা ও সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে পদযাত্রা-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা। বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকী, মোশরেফা মিশু, মোশাররফ হোসেন নান্নু, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মানষ নন্দী, রজত হুদা, শামছুল আলম, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সুজিত চৌধুরীসহ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, সরকার একগুঁয়েমিভাবে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতীয় স্বার্থে এই চুক্তি সম্পাদন করেছে। আমরা এটা জেনেও এই চুক্তি বাতিল করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবো। তিনি বলেন, অতীতেও অনেক সরকার ‘নাক কেটে নিজের যাত্রা ভঙ্গ’ করতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধে তা সফল হয়নি। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে এবং সারাবিশ্বে একজনও বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে না, যিনি মনে করেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। শুধু কমিশন এজেন্ট ও কোম্পানির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই এই দাবি করেন। তিনি বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় নীতিমালা প্রণয়ন, সুন্দরবন বিনাশী, রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল এবং স্থানীয় পর্যায়ে জোর-জুলুম বন্ধের দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশবাসী আন্দোলন করে আসছে। সরকার এসব দাবিকে উপেক্ষা করে চলেছে। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি মনে করে তার দাবির পক্ষেই অধিকাংশ জনমত রয়েছে, তাহলে গণভোট দিন। সরকার যদি মানুষকে প্রকৃতপক্ষে ভোট দিতে দেয়, তাহলে আমরা নিশ্চিত শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ এই চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবে।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পের সুন্দরবন বিধ্বংসী খবর জেনে বিশ্বের সচেতন কোনো ব্যাংকই অর্থ যোগান দিচ্ছে না। অর্থ যোগানে রাজি হয়েছে শুধু ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। এই প্রকল্পের অর্থনীতি ঝুঁকি ও মানববিধ্বংসী অবস্থান নিয়ে সারাবিশ্বের সচেতন মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকল্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সরকার সেদিকে কর্ণপাত না করে একগুঁয়েমি ও আত্মঘাতি মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, শ্রীলংকার জনগণ রুখে দাঁড়ানোতে এ ধরনের কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিল করতে সে দেশের সরকার বাধ্য হয়েছে। আমাদের দেশের জনগণ রুখে দাঁড়ালে সরকারও এ প্রকল্প বাতিল করতে বাধ্য হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।