ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরবাসীসহ আশপাশের অসংখ্য ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী মুন্সীগঞ্জ-কাঠপট্টি খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে যাতায়াত করে থাকেন। সরকার প্রতিবছর কয়েক লাখ টাকা এই খেয়াঘাট থেকে ইজারা হিসেবে পেয়ে থাকে। খেয়া পারপারের জন্য নির্ধারিত টোল দিতে হয়। কিছু দিন আগেও খেয়া পারাপারে টোল হিসেবে জনপ্রতি তিন টাকা ধার্য ছিল। সম্প্রতি পাঁচ টাকা ধার্য করা হয়েছে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে নানাভাবে নাজেহাল হতে হয়। মাস দুয়েক আগে প্রশাসন এটা প্রতিহত করার উদ্যোগ নেয়; তাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। এখন আর প্রশাসনের তদারকি নেই। এই সুবাদে মাগরিবের আজান থেকে শুরু করে সকাল ৮টা পর্যন্ত জনপ্রতি দশ টাকা হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। জনগণ রাত ১০টার পর ইজারাদারদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ে। তখন জনপ্রতি ২০ টাকা থেকে ৫০ এমনকি ১০০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করা হয়। অবিলম্বে এ অবস্থা নিরসনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবদুল অদুদ মিয়া, এনায়েতনগর কলেজ রোড,
মিরকাদিম পৌরসভা, মুন্সীগঞ্জ।
মগবাজার উড়ালসড়ক দিয়ে যেতে চাই
ঢাকার মগবাজার উড়ালসড়ক দিয়ে বাস চলাচলে বাধা থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আমাদের। নির্মাণাধীন সময়ে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তখন মনকে সান্ত¦না দিয়েছিলাম যে একদিন বাসে করে আমরা এ যানজটের পথ সহজেই পার হব। কিন্তু এখন উড়ালসড়ক দিয়ে দামি দামি প্রাইভেট কার চলাচল করলেও বাসযাত্রীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে মগবাজার-মালিবাগ পথটিও চলাচলের অনুপযোগী। দীর্ঘদিন ধরে উড়ালসড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। কবে শেষ হবে তার ঠিক-ঠিকানা নেই। যান চলাচলে ট্রাফিক সংকেত পেতে অপেক্ষার পালাও শেষ হয় না এ পথে। সংকেতের দেখা পেলেও বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে হারিয়ে যায় দ্রুত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে বা বসে বৃদ্ধ, শিশু, মহিলা, যুবক সবারই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর বাধ্য করা হচ্ছে এ পথে যেতে। অন্তত মগবাজার-মালিবাগ নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই হতভাগা নাগরিকদের মগবাজার উড়ালসড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হোক।
নুর আলম, মহাখালী, ঢাকা।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থা
আমাদের দেশের শহরগুলোর স্বাস্থ্যসেবায় কিছুটা পরিবর্তন এলেও প্রত্যন্ত অঞ্চল সম্পর্কে সে কথা বলা যাবে না। এমনও এলাকা আছে যেখানে চিকিৎসাসেবা এখনো পৌঁছায়নি। সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তা বাড়ি থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। সাধারণ অসুস্থতায়ও যেখানে সেবা পেতে সমস্যা হয় সেখানে দুর্যোগকালীন মুহূর্তে চিকিৎসা পাওয়াটা অত্যন্ত জটিল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডাক্তারের স্বল্পতা। তার মধ্যে ঈদের ছুটিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার থাকে না বললেই চলে। স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ছুটিগুলোতে নিশ্চিত না করায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে এবং এতে শহরের হাসপাতালগুলোতে বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়। এ জন্য দীর্ঘকালীন সরকারি ছুটিগুলোতে অবশ্যই সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের উপস্থিত থাকার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। যে চিকিৎসক যে যে এলাকায় বর্তমানে রয়েছেন তাদেরকে ঈদের মধ্যে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ভাগে ভাগে থাকার ব্যবস্থা করা গেলে সমস্যার কিছু উত্তরণ হতে পারে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাঈদ চৌধুরী, শ্রীপুর, গাজীপুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।