পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে লকডাউনের কিছু প্রভাব অর্থনীতি আর খেটে খাওয়া মানুষের ওপর পড়বে উল্লেখ করে তাজউদ্দিনপুত্র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেছেন, এখানে (বাংলাদেশে) দুর্নীতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় ক্যান্সার। দুর্নীতি যেন না হয়, সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের মধ্যে অনেকে আছে সুযোগসন্ধানী। তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তাদের প্রতি আমি ধিক্কার ও ঘৃণা প্রকাশ করছি। তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখেন। করোনাভাইরাস ঠিক হয়ে গেলে এদের (দুর্নীতিবাজ, ত্রাণ চোর) বিচার করতে হবে।
গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সমাজ একটি জাতি এগিয়ে যেতে পারে, যদি সে সমাজ ও জাতি যাদের দিয়ে তৈরি সেই মানুষ তৈরি করতে না পারি, তাহলে সমাজ বা জাতি উন্নতি করতে পারবে না।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার মতো দেশে কেউ কাজে যেতে পারছে না। কাজে না গেলে আয় নাই খাবার নাই। আমেরিকা একটা ব্যবস্থা করেছে, প্রত্যেকের আয়ের উপর নির্ভর করে একটা অ্যামাউন্ট পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা (বাংলাদেশ) উন্নত বিশ্বের দেশ না। এই করোনাভাইরাস আমাদের জন্য অভিশাপ। দেশের গরীব মানুষদের ওপর এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। যে লোক দৈনিক দুইশ’, তিনশ’ টাকা উপার্জন করতেন তার তো এখন কাজ নেই। সে কাজ চলবে কিভাবে? গার্মেন্টস কর্মীদের আয় বন্ধ। তিনি বলেন, কৃষক কাজ করে যাচ্ছেন। তারা বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমাদের অর্থনৈতির অবস্থা বিবেচনা করে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি। দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ। এ উদ্যোগগুলো যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয় তাহলে হতদরিদ্র যারা আছে, তাদের অন্তত না খেয়ে মারা যেতে হবে না।
দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে আর লকডাউন থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসা যায় সেসব বিষয়ে সরকার নিশ্চয়ই চিন্তা-ভাবনা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, লকডাউন বেশি দিন চললে আমাদের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমি আশা করব, সরকার নিশ্চয়ই চিন্তা-ভাবনা করছে, কিভাবে আমাদের অর্থনীতিকে আবার চালু করা যায়, কিভাবে আমরা লকডাউন থেকে বের হয়ে আসতে পারি।
করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, টেস্টিং যত বাড়বে, আক্রান্তের নাম্বার তত বাড়তে থাকবে। দেখা যাবে বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষের করোনা হয়ে গেছে। কিন্তু আপনারা নার্ভাস হবেন না। ভয় পাবেন না। স্বাস্থ্য ঠিক রাখেন। খাদ্যাভাস ঠিক রাখেন। খাদ্য হয়ত কিছুটা ভেজাল আছে। সাহস রাখেন, ভয় পাবেন না। আমরা সবাই আছি আপনাদের সঙ্গে। আপনারা সাহস হারাবেন না। ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
করোনাকালের সঙ্কটে রাজনীতি না করার আহŸান জানান সোহেল তাজ বলেন, দয়া করে এই মুহূর্তে রাজনীতি টানবেন না। এখন স্টপ। এটা মহামারী। দেশটাকে আগে বাঁচাই, তারপর রাজনীতির মাঠে এসে কাপাকাপি কইরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।