পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে আলোচনায় সব দলকে চিঠি দেবেন খালেদা জিয়া
আফজাল বারী : রক্তাক্ত জনপদ। সর্বত্রই বিভীষিকা। অনিশ্চয়তায়র মধ্যে দেশ। জঙ্গিবাদের থাবায় যখন দেশ আক্রান্ত, তখনো ক্ষমতাসীনদের আত্মকেন্দ্রিকতা ও দোষারোপের রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমর্যাদা তলানীতে। এ পরিস্থিতিতে দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনে গণমানুষের সারিতে দাঁড়াতে চান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। জঙ্গিদের গ্রাস থেকে দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ বলে মনে করেন তিনি। নব্বইয়ে তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন, এবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জাতীয় ও রাজনৈতিক সর্বাত্মক ঐক্য গড়ে তোলার নেতৃত্ব দিতে চান।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গিবাদ ও জাতীয় ঐক্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলের প্রধানদের চায়ের দাওয়াত (চিঠি) দেবেন বিএনপি প্রধান। শিরোনাম হতে পারে ‘আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, সবাই এককাতারে দাঁড়াই’। এ লক্ষ্যে নিজ দল ও জোটের আভ্যন্তরে আলোচনা করেছেন খালেদা জিয়া। এখন তিনি দেশের সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করতে চান। মতামত বা পরামর্শ নিয়েই বাস্তবতার আলোকে কর্মসূচি প্রণয়ন করতে চান। দল, মত ও আদর্শগত বাধা দূর করতে প্রয়োজনে ১৯৯১-এর ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দলের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সমঝোতা বা রূপরেখাকে ফলো করতে চান বিএনপি চেয়ারপার্সন।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন। তিনি আক্ষরিকভাবেই বলেন, ‘কে ক্ষমতায় থাকবে, কে ক্ষমতায় যাবে, সেটা আজ বড় কথা নয়। আমাদের কোন অর্জনই টিকবে না যদি আমরা সন্ত্রাস দমন করতে না পারি।’ সব ভেদাভেদ ভুলে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার এই আহ্বানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনো পর্যন্ত কোন সাড়া দেয়নি। বরং দলটির নেতারা জঙ্গি ইস্যুতে বিএনপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন। তবে ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাদের সমালোচনায় কান দিতে নারাজ বিএনপি ও তাদের মিত্রদলগুলো। তারা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পথেই হাঁটছেন।
কী ধরনের পদক্ষেপ বা কর্মসূচি গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে গত বুধবার মূলত আলোচনা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটি ও জোটের বৈঠকে। এক্ষেত্রে ঢাকায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী একটি জাতীয় কনভেনশন করার পরামর্শ দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। যে কনভেনশনে সক্রিয় সব রাজনৈতক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। আওয়ামী লীগকেও আহ্বান জানানো হবে। তার আগে হোমওয়ার্ক করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
দলীয় প্রধানের নির্দেশনায় কাজ করছেন- বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে জানান, তিনি বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতার সাথে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। বেশিরভাগ দল জঙ্গিবাদ ইস্যুতে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়তে আগ্রহী। তারাও একমঞ্চে সমস্বরে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের ডাক দিতে চায়।
সূত্রটি আরো জানায়, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দলের নেতারা আশা করেছিলে সরকারের তরফ থেকে এ ডাক আসবে। কিন্তু সেটা ঘটেনি। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমর্যাদা অক্ষুণœ রাখতে এবং দেশে শান্তি ফেরাতে তারা ঘরে বসে থাকতে চায় না। অন্তত এই একটি ইস্যুতে (জঙ্গিবাদ) ঐকমত্য গড়তে চায়। ’৫২, ’৬৯, ’৭১ ও ’৯০-এর দিনগুলোর মতো দুর্বার প্রতিরোধ-প্রতিবাদ গড়ে তুলতে চায়। অন্য দলের নেতাদের এমন মনোভাবের কথা তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনকে জানিয়েছেন। সে আলোকেই খালেদা জিয়া ‘জাতীয় ঐক্য’র পথে গতি বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী কয়েকজনকে তিনদলীয় জোটের রূপরেখার আলোকে সর্বদলীয় ঐক্যের একটি খসড়াও প্রস্তুত করবার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বাইরে রয়েছেন। দেশে ফিরলেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাপদের চিঠি দেয়া হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।