পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দেশব্যাপী জুমার নামাযের খুতবা নির্দিষ্ট করে দেয়াকে প্রত্যাখ্যান করে এটাকে ধর্মীয় বিষয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপ অবিহিত করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঈমান-আক্বীদাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম সংগঠনটি মসজিদের খতীবগণের প্রতি আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ মানুষ, সমাজ ও দেশ গঠনমূলক পবিত্র কুরআনের আয়াত ও হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসলামের শুরু থেকে চলে আসা নিয়মে খুতবাদানের আহ্বান জানান। একই সাথে হেফাজতে ইসলাম আগামী ২৯ জুলাই শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক বৈঠকে গতকাল (রোববার) এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সম্প্রতি দেশে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা, খুন, গুম-এর আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দেশের মসজিদসমূহে জুমার বয়ান ও খুতবা নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজত আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুঈনুদ্দীন রুহী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, আমীরের প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী, মাওলানা হাকীম আব্দুল করীম খান, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতী আব্দুস সাত্তার, মুফতী আজহারুল ইসলাম, মাওলানা শরীফুল্লাহ প্রমুখ।
বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলা, খুন, গুমসহ সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি এবং মানুষের মৌলিক ও ন্যায্য অধিকার হরণের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলার বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীসহ দেশের আলেম সমাজের আরো বেশী ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই লক্ষ্যে মানুষের দ্বারে দ্বারে শান্তির ধর্ম ইসলামের সঠিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে আরো বেশি তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ধর্মহীন শিক্ষানীতি চালু হওয়ার পর থেকে স্কুল, কলেজ ও ইউনিভর্সিটির ছাত্ররা সঠিক ইসলামী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যে কারণে দেশের দুশমনরা সন্ত্রাসী কাজে ইসলামের জিহাদের অপব্যাখ্যা করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। এই জন্যে আলেমদের স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো বেশী ধর্মীয় সভা-সেমিনার আয়োজনে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, এসব সভা-সেমিনারে পবিত্র কুরআন-হাদীসের আলোকে ইসলামের সুন্দর বাণীসমূহ এবং ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক দেশ ও সমাজ গঠনের বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি সমাজে সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য, খুনাখুনি, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ ও অমুসলিম নাগরিকদের উপর অন্যায়-অত্যাচারের বিষয়ে ইসলামের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারী ও ধমকির বিষয়ে পবিত্র কুরআনের আয়াত ও হাদীসসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখতে হবে।
বৈঠকে উলামায়ে কেরাম, মসজিদের ইমাম-খতীবকে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণায় সহযোগিতা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, দেশ ও সমাজ থেকে সন্ত্রাস ও সকলপ্রকার অন্যায়-অবিচার নির্মূলে সরকার যদি প্রকৃতই আন্তরিক হয়ে থাকে, তবে তাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং অবশ্যই সহযোগিতা করবে। বৈঠকে আগামী ২৯ জুলাই শুক্রবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে বাদ জুমা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে সন্ত্রাসবিরোধী বিশাল বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হেফাজতের ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিকে সন্ত্রাসবিরোধী ব্যাপক জনমত গঠনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্যে জোরালো প্রস্তুতি নেয়ার জন্যে বৈঠক থেকে নির্দেশ দেয়া হয়।
হেফাজত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বৈঠকে সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দেশের জামে মসজিদসমূহে প্রেরিত বিতর্কিত ও ভুলে ভরা খুতবা প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, এক সময় তারা নামাযের সূরা-ক্বিরাতেও বিধি-নিষেধ আরোপ করতে চাইবে। ইবাদত-বন্দেগীতে হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ আরোপের হঠকারিতা দেশের মুসলমানরা মেনে নিবে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও তার ডিজি’র নানা ইসলামবিরোধী কর্মকা-ে এমনিতেই দেশের মুসলমানরা চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। নামায ইসলামের মৌলিক ইবাদত। নামায-রোযাসহ ইসলামের ইবাদত-বন্দেগীকে দলীয়করণ ও সরকারীকরণ করা যায় না। দেশের উলামা-মাশায়েখ ও দলমত নির্বিশেষে সকল মুসলিম জনতা ইবাদত-বন্দেগীতে সরকারের অবৈধ ও অন্যায় হস্তক্ষেপ, নিয়ন্ত্রণারোপ কখনোই বরদাস্ত করবে না। হেফাজত নেতৃবৃন্দ ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে ইবাদতে হস্তক্ষেপ করে মুসলমানদেরকে ভয়ানক বিক্ষুব্ধ করে তোলার বিধ্বংসী মিশন বন্ধ করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র জুমার খুতবা ওয়াজিব ইবাদত। মসজিদের খতীবগণ নামাযের আগে আরবী ভাষায় পবিত্র কুরআনের আয়াত, রাসূল (সা.)-এর হাদীস সন্নিবেশিত খুতবা দিয়ে আসছেন ইসলামের শুরু থেকেই। খুতবার পূর্বে কোন কোন মসজিদে কুরআন-হাদীসের আলোকে খতীব সাহেবগণ অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মুসল্লীগণের উদ্দেশে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শৃঙ্খলা মতে চলা, যে কোন অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নামায-রোযাসহ ইসলামের বিধি-বিধান সঠিকভাবে পালনের নিয়মত-কানুন নিয়ে শিক্ষামূলক বয়ান রাখেন। খতীব সাহেবগণ খুতবা পূর্ববর্তী বয়ান প্রকাশ্যেই দিয়ে থাকেন, যা সকল মুসল্লী শুনে থাকেন। আর মুসল্লীদের মধ্যে সরকারী-বেসরকারী নানা পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল দলমতের মানুষ থাকেন, মসজিদ কমিটির লোক থাকেন। সুতরাং খতীব সাহেবদের কোন বিভ্রান্তিমূলক বয়ান পেশের সুযোগই নেই। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এ পর্যায়ে সরকার চাইলে মসজিদের খতীবগণকে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ইসলামের আলোকে বয়ান উপস্থাপনের জন্যে অনুরোধ করতে পারেন। আর সরকারের জনস্বার্থমূলক অনুরোধে খতীবসাহেবগণ অবশ্যই সহযোগিতা করবেন। কিন্তু খুতবা লিখে দিয়ে তা পড়তে বাধ্য করা, মসজিদসমূহ নজরদারির প্রচারণা এগুলো সুষ্ঠু চিন্তা নয়। কোন অমুসলিম দেশেও এতটা ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব দেখা যায় না। তারা বলেন, এই যে হঠাৎ করে মসজিদের ইমাম-খতীব ও ওয়াজ-মাহফিল নজরদারির ব্যাপক প্রচারণা, সরকারীভাবে খুতবা নির্ধারণ, এতে তো বিশ্ববাসীর এমন ভাবনা জাগতে পারে যে, বাংলাদেশের লাখ লাখ মসজিদের খতীব জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণের কাজে জড়িত। হেফাজত নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের নানাভাবে বার বার বিক্ষুব্ধ করে তোলার মিশন পরিত্যাগের জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসলাম উচ্ছেদ নয়, বরং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে পদক্ষেপ নিন।
খুতবায় নজরদারি ও নির্দিষ্টকরণ ইসলামের বাণী প্রচারে বিঘœ সৃষ্টি Ñইসলামী নেতৃবৃন্দ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক জুমার নামাজে খুতবা নির্দিষ্ট করে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ইসলামী ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল পৃথক সভায় ও বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে ইমাম খতিব ও মসজিদের কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং মসজিদ মাদরাসায় নজরদারি করে খুতবা নির্দিষ্ট করে জঙ্গি সমস্যা সমাধান হবে না বরং এতে ইসলাম প্রচার বাধাগ্রস্ত হবে।
মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে জুমার নামাজের খুতবা ও ওলামা-মাশায়েখদের ওয়াজ মাহফিলের উপর নজরদারির কথা বলা হয়েছে। এদিকে তিনি মসজিদ তথা ইসলামী কর্মকা-ের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, নজরদারির নামে যেন খবরদারি না করা হয়। খবরদারি করা হলে ইসলামী জনতা মেনে নিবে না।
তিনি আরও বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় যারা সন্ত্রাস করেছে তাদের সাথে মসজিদ-মাদরাসা বা কোনো আলেম-ওলামার সম্পর্ক নেই। অথচ তাদের এই ঘটনাকে পুঁজি করে সরকারে ঘাপটি মেরে থাকা নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী ইসলামকে সঙ্কুচিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তারা প্রকৃত সন্ত্রাস দমন না করে ইসলাম দমনের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমরাও এসব সন্ত্রাস ও হত্যাকা- সমর্থন করি না, কিন্তু কোনো মহল যদি এই ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাও আমরা সহ্য করবো না। তিনি অবিলম্বে এ ব্যাপারে সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, জুমার খুতবায় খতিব সাহেবরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দেন, তাদের বয়ানে কেউ সন্ত্রাসী হয় না। আপনার প্রশাসনকে আলেম-ওলামাদের বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ থেকে বিরত রাখুন, নতুবা আলেম-ওলামা ও দ্বীনদার মুসলমানরা ইসলামের কণ্ঠরোধের কোনো পদক্ষেপ মেনে নিবে না।
সম্প্রতি গুলশানের হোটেলে এবং শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ প্রয়োজন। তিনি বলেন, ইসলাম কোনো ধরনের ফিতনা বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না, আর অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা করা হারাম। ইসলামের নাম নিয়ে যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে তারা ইসলামের সত্যিকারের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। ইসলামের খ-িত জ্ঞানার্জন করার কারণেই তারা জিহাদ আর সন্ত্রাসকে এক করে ফেলেছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য দেশের ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকা-ও দায়ী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক মতিবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব আলহাজ আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এম. আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ হারুন-অর-রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, কে.জি মাওলা প্রমুখ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
জুমার খুতবা নির্ধারণ ও মসজিদে নজরদারি ইসলামের বিরুদ্ধে নয়া ষড়যন্ত্র। মসজিদ ও মাদরাসা থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক হত্যা ধর্ষণসহ কোনো কিছুই তৈরি হয় না বরং যুগ যুগ ধরে আলেম-উলামা ও মসজিদের খতিবরা মানুষকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বন্ধন শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। জঙ্গি, সন্ত্রাসসহ নানাবিধ অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের উৎস মূলে নজর না দিয়ে উল্টো মসজিদের খুতবা নির্ধারণ করে খতিবদের স্বাধীনভাবে খুতবাদানে বাধাদানের অথর্ই হচ্ছে মুসলমানদের কাছে ইসলামের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়াতে বাধাগ্রস্ত করা এবং ইসলাম, মসজিদ ও মাদরাসাকে হেয় প্রতিপন্ন করা। এটা হিতে বিপরীত হবে। এগুলো বন্ধে সকল শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা জরুরি। দলের কেন্দ্রীয় প্রচার প্রকাশনা ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল গতকাল বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ মজলিস মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা ইসলাম, মাদরাসা ও মসজিদকে হেয় করতে সন্ত্রাসকে ইসলামের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছে তারা মূলত সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ড বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, মসজিদের খতিবদের খুতবা নির্ধারিত করে দেওয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোনো অধিকার নেই। মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূর বলেছেন, আল্লাহপাক মানুষকে ইবাদত ও খেলাফতের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যতদিন মানুষ ইবাদত ও খেলাফত যথাযথভাবে পালন না করবে ততোদিন মানুষের মাঝে হতাশা ও অশান্তি বিরাজ করবে।
মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূছার পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সভাপতি হাফেজ শহীদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতিক উল্লাহ, মাওলানা সানা উল্লাহ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ শামসুল আলম, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম সাইদ, মহানগর সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল আলম, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ রেজওয়ান হোসাইন, আল-আজীজ শিল্পী গোষ্ঠীর সহ-পরিচালক মুহাম্মদ উমর ফারুক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।