পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসংলগ্ন ‘ডিভাইন ইকো-রিসোর্টস অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’ নামক আবাসিক কটেজের সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদ করা নিয়ে শোনা যাচ্ছে নানা ধরনের গুঞ্জন। আশপাশে একই ধরনের আরো কটেজের স্থাপনা থাকলেও শুধু একটি কটেজ টার্গেট করার বিষয়টি উচ্ছেদ অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
গতকাল রোববার দুপুরে ওই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় কটেজের গেট, সীমানা দেয়াল ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমদ ও কক্সবাজার সদর ভূমি কর্মকর্তা (এসি-ল্যান্ড) মাজহারুল ইসলাম। সরকারি জায়গায় ‘অবৈধ স্থাপনা’ করায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার সদর ভূমি কর্মকর্তা (এসি-ল্যান্ড) মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় কারো স্থাপনা করার অধিকার নেই। জমির মালিক দাবিদার ব্যক্তি স্বপক্ষে ‘গ্রহণযোগ্য’ কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি। সরকারি খাস খতিয়ানের তুলনামূলক বিএস দাগ-২০০০১ ভুক্ত জমিতে নির্মিত ‘অবৈধ স্থাপনা’ উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তবে কটেজ মালিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী শাওন আদালতের আদেশ অমান্য করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার ২০০০১ ও ২০০২৬ দাগের ১৫২ শতক জমির ক্রয়সূত্রে বৈধ মালিক দাবী করেন শাওন। ‘সার্ভে কমিটির রিপোর্ট’ অনুযায়ী তার দখলে কোন অবৈধ জমি নেই জানিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষে ‘অনাপত্তি’ দিয়ে জমিতে আমার স্বত্ব স্বীকার করেছেন আদালতের জিপি। তার মতে, এসি-ল্যান্ড ও তহসিলদারের রিপোর্টও পক্ষে রয়েছে। বৈধ জমিতেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। সামান্যতম জমিও অবৈধ দখলে থাকার প্রমাণ দিতে পারবে না কেউ।
তিনি আরো জানান, জমির ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গত ০৮/০৩/২০১০ ইং কক্সবাজার যুগ্ম-জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক রঞ্জন কুমার সাহা নির্দেশ দেন।
অথচ উচ্ছেদ আভিযানের আগে কোন নোটিশও দেয়া হয়নি।
একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে শাওন দাবি করেন।
এদিকে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ওই কটেজে অবস্থানরত এক পর্যটক জানান, দুই দিনের জন্য আমরা কক্সবাজার বেড়াতে এসে ‘ডিভাইন ইকো-রিসোর্টস অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’-এ অবস্থান করেছি। হঠাৎ ভাঙচুর করতে দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। অনেকে এ অবস্থা দেখে অন্য হোটেলে চলে যায়।
হোটেল-কটেজ ব্যবসায়ীরা জানায়, পর্যটন শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পর্যটক টানতে ‘ডিভাইন ইকো-রিসোর্টস অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট’-এর মতো আরো অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা দরকার। সাগরপাড়ে বড় দালানের চেয়ে এ রকম সেমি ইকো-রিসোর্ট বেশি পরিবেশসম্মত ও আকর্ষণীয় বলে ব্যবসায়ীদের মন্তব্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।