পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
(২)
ইনকিলাব ডেস্ক : অন্য রিপাবলিকান একবার বিশ্বায়ন, বাধাহীন অভিবাসন ও ইউরোপীয়-আমেরিকান সংস্কৃতির বিলোপ প্রবণতা সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কিন্তু দু’দফা রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী প্যাট্রিক জে. বুকানন মোট ৪টি রাজ্যে জয়ী হন। ট্রাম্প জয়ী হন ৩৭টি রাজ্যে। রিপাবলিকানদের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অচলাবস্থা হিসেবে ১৯৯২ ও ১৯৯৬ সালে বুকাননের প্রচারণা বাতিল করা হয়। বুকানন তার ভার্জিনিয়ার বাড়ি থেকে বহু সংস্কৃতিবাদ ও অ-ইউরোপীয় অভিবাসন সম্পর্কে তার সমালোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেখুন, আমি বলেছিলাম আমরা শ্বেতাঙ্গ দল। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা হুইগদের পথে যাচ্ছি। যে কেউই বলবে যে এটা বলা ভয়ংকর।
বুকানন আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গদের একচেটিয়া রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রাধান্যের পশ্চাৎপটের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু ওবামা প্রশাসনের আমলে এসে বন্ধ হওয়ার আগে পরবর্তী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ ও তিনগুণ বেড়ে ১ কোটি ১০ লাখে দাঁড়ায়। শিল্পায়ন হ্রাস ও অংশত বিশ্ব বাণিজ্যের কারণে কলেজ ডিগ্রি ছাড়া শ্বেতাঙ্গদের জন্য সুন্দর জীবন যাপনের মত অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য বিলুপ্ত হয়। জনসংখ্যাবিদরা বলতে শুরু করেন যে সেদিন দূরে নয় যেদিন অ-হিস্পানিক শ্বেতাঙ্গরা আমেরিকান জনসংখ্যার সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়ার মত রাজ্য ও দেশব্যাপী শত শত শহর ও কাউন্টিতে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। বুকানন বলেন, যে পরিবর্তন ঘটছে তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য জাতীয় পরিষদের আসন সৃষ্টি করছে।
অনেক আমেরিকানের জন্যই অশ্বেতাঙ্গ ভোটারদের শক্তিতে প্রেসিডেন্ট ওবামার নির্বাচনী বিজয় সম্ভব হয়েছিল যা তখন দেশের জটিল বর্ণবাদী ইতিহাসে উৎকৃষ্ট একটি মুহূর্তের ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে কিছু শ্বেতাঙ্গের জন্য দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের নির্বাচন আমেরিকান সমাজে শ্বেতাঙ্গদের প্রাধান্য অবসানের শক্তিশালী ইঙ্গিত।
হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রফেসর মাইকেল আই. নর্টনের কথা হচ্ছে যে শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গ বিরোধী পক্ষপাতিত্বের চেয়ে শ্বেতাঙ্গ বিরোধী পক্ষপাতিত্ব বেশী দেখতে পাচ্ছে এবং তারা ভাবছে যে তাদের ব্যবহার করে কৃষ্ণাঙ্গদের আরো অগ্রগতি হতে যাচ্ছে। রেডিও ও ফক্স নিউজের সাথে কথা বলার সময় কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী কার্ড খেলার অথবা নিজেরা বর্ণবাদী হয়ে পড়ার অভিযোগ উত্থাপিত হয়। আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানী মাইকেল টেসলারের সংগৃহীত উপাত্ত অনুযায়ী ওবামার প্রেসিডেন্সির সময় শ্বেতাঙ্গরা দেখেছে যে তার নীতি ক্রমেই কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।
ওবামার দু’দফা শাসনকালে টেসলার দেখতে পেয়েছেন উদারপন্থী বর্ণবাদীরা ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে তাদের অভিবাসন জোরদার করেছে। ২০১ তে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর দেখা গেছে রিপাবলিকান পার্টি আর অধিকাংশ শ্বেতাঙ্গ ভোটদাতার পার্টি নয়। টেসলারের প্রবাদ অনুযায়ী একই সাথে তা বর্ণবাদী রক্ষণশীলদেরও দল। ট্রাম্পের চেয়ে অল্প কিছু রাজনীতিকই এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে প্রস্তুত ছিলেন। গবেষণা জরিপে দেখা যায়, আমেরিকার রাজনীতিতে খোলাখুলি বর্ণবাদিতা যখন ভীষণ শক্তিশালী ট্যাবু তখন আমেরিকানরা অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে উদ্বেগ ও ইসলাম অপছন্দের ব্যাপারে তাদের মত অধিক খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করতে পারে মনে করেছে। ট্রাম্পের হাতে এ দু’ ধারণার সম্মিলন ঘটেছে।
ওবামা যখন পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ান তখন কম আমেরিকানই বলেছে যে বর্ণের কারণে তারা তাকে অপছন্দ করে। কিন্তু তারা তার কথিত ধর্ম নিয়ে কথা বলতে আনন্দ অনুভব করেছে। টেসলার বলেন, ট্রাম্প এক বিরোধী- অন্য বার্তার কথা বলছেন যে ওবামা বিদেশী, তিনি মিশ্র কৃষ্ণাঙ্গ এবং ধারণা করা হয় যে তিনি মুসলমান। তিনি বলেন, এটা হচ্ছে ওবামাকে আপনি কৃষ্ণাঙ্গ এ কথা না বলে তার জাতি-সংস্কৃতিগত বিরোধিতা করা। সূত্র : দি নিউ ইয়র্ক টাইমস। (অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।