পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : গতকাল শনিবার বেশি আর্দ্র ও চিটাযুক্ত ধান কেনার অভিযোগে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী দুই ঘণ্টা ধরে কলারোয়া খাদ্য গুদাম অবরুদ্ধ করে ধান ক্রয় বন্ধ রাখে। পরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই ইনকিলাবসহ পত্রপত্রিকার সংবাদের সূত্র ধরে গতকাল বেলা ১০টায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএম নজরুল ইসলামের ভাগ্নে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাহির হাসান শেলী, জামাই সিরাজসহ ক্ষমতাসীন দলে কিছু নেতাকর্মী কলারোয়ার ১ নং গুদামে গিয়ে ব্যাপক চিটা ও আর্দ্রতাযুক্ত ধান দেখতে পায়। এসময় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ধান উঠানো বন্ধ করে দিয়ে গুদাম অবরোধ করে রাখে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেলী ধান বহনকারী ট্রলি চালকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ২৬ জন ট্রলি চালক বলে তারা সাতক্ষীরা সদর থানার ঝাউডাঙ্গা বাজারের আড়ত থেকে এই ধান নিয়ে আসছে এবং ধানের মালিক জনৈক কামরুল। সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে চাষীর কাছ থেকে ধান ক্রয়ের নামে একজনের কাছ থেকে ২৬ ট্রলিতে ৭৮ টন ধান নেয়ার প্রক্রিয়া দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা গুদাম অবরোধ করে ধান ক্রয় বন্ধ করে দেয়।
বেলা ১২ টা পর্যন্ত আনুমানিক ২ ঘণ্টা গুদামে ধান উঠানো বন্ধ রাখা হলেও গুদাম কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক সামনে আসেননি। কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু টেলিফোনে বলেন, চাষীর ধান না নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চিটা ও বেশি আর্দ্র ধান কেনায় তাদের দলীয় লোকজন খাদ্য গুদাম অবরুদ্ধ করেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্বাসে তারা ফিরে আসেন। এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীর অভিযোগের কথা অস্বীকার করে জানান, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি গুদাম ঘেরাও দেখতে পাননি। চিটার কথাও অস্বীকার করে বর্ষার কারণে কেনা ধানে একটু বেশি আর্দ্রতা রয়েছে বলে জানান। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানান হয়, স্যার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে মিটিং-এ ব্যস্ত আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।